সাকিব যে খেলছে এটাই আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার: পাপন
হাসপাতালে ভর্তি তিন সন্তান। সঙ্গে মা ও শাশুড়িও। স্বাভাবিকভাবেই বড় দুশ্চিন্তার বিষয় সাকিব আল হাসানের জন্য। তার উপর তিনি রয়েছেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দেশের জন্য সাকিবের এমন স্যাক্রিফাইসকে বিরাট ব্যাপার বলেই মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
অথচ এ সিরিজের আগে মানসিক অবসাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে চাননি সাকিব। শেষ পর্যন্ত গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে প্রোটিয়াদের মাঠে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক তিনিই। দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ওয়ানডের আগে জানা যায় সাকিবের পরিবার ভালো নেই। তাই সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচের আগে শঙ্কা ছিল দলের সেরা তারকাকে হারানোর। তবে দলের সঙ্গে থেকে যান এ অলরাউন্ডার।
তবে চাইলেই সাকিব দেশের ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের তরফ থেকে পুরো গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া আছে যেহেতু ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি। সে যে কোন সময় আসতে পারে। ও যে খেলতে অবশ্যই আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার। ও স্যাক্রিফাইস করছে।'
সাকিব দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে পরিবর্তন করেছেন বলে জানান পাপন, 'সাকিব আমাকে প্রথম ওয়ানডের পরেই বলেছিল ওর পরিবারের সবাই অসুস্থ। আমি তাকে বলেছি ও আসতে পারে। পরিবার সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য অবশ্যই যে কোন সময়ই আসতে পারে। ও বলেছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলে আসবে, এর পরে বলল আমি এখন আসছি। ওর টিকিটও বুক হয়ে গিয়েছিল। এরপরে কাল বলল তৃতীয় ম্যাচ শেষে আসব।'
সাকিবের পরিবারের অসুস্থতার খবরের পরপরই অবশ্য বিসিবির তরফ থেকে দেশের ফিরে আসার সবুজ সংকেত ছিল। সাকিবও ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে পরিবারের সবারই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
উল্লেখ্য, অনেক দিন থেকেই হাসপাতালে সাকিবের মা শিরিন আক্তার। হার্টের জটিলতা রয়েছে তার। অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও ছোট মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রিও ভুগছেন সর্দি-জ্বরে। আর সাকিবের শাশুড়ি ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
Comments