সাকিবকে তামিমের বিশেষ ধন্যবাদ
মানসিক অবসাদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতেই চাননি সাকিব আল হাসান। সেখানে গিয়েও ভালো থাকার উপায় নেই। দুই ম্যাচ খেলতেই জানতে পারলেন তার প্রায় পুরো পরিবারই হাসপাতালে। কিন্তু তারপরও মন শক্ত করে থেকেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। খেলেছেন তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। দলের জয়েও রেখেছেন দারুণ অবদান। সাকিবের এমন নিবেদনে দারুণ খুশি দলীয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।
সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ জিতে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠেই মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট করে দেয় টাইগাররা। তার সবটাই হয়েছে তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে। একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে সাকিবের অবদানও কম নয়। পেয়েছেন দুটি উইকেট। দলের জয়সূচক রানটাও আসে তার ব্যাট থেকে। আর প্রথম ম্যাচ জয়ের মূলনায়ক তো ছিলেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই সাকিবে উচ্ছ্বসিত টাইগার অধিনায়ক। তার উপর সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় বাড়তি ধন্যবাদ পেতেই পারেন এ অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিবকে ধন্যবাদ জানাতে কোনো ভুল হয়নি তামিমের, 'সাকিবের এখানে আসা এবং খেলা এটা অনেক বড় ব্যাপার। বিশেষ করে তার দুই সন্তান, মা এবং শাশুড়ি সবাই হাসপাতালে, এরপরও সে এখানে খেলেছে। এতেই সে তার চরিত্র বুঝিয়েছে যে সে এখানে সিরিজ জিততে চায়। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। সে আমাদের জন্য দুর্দান্ত ছিল।'
দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেই দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। তবে পারিবারের সদস্যদের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন বিসিবি থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তৃতীয় ওয়ানডে শেষেই দেশে ফিরছেন সাকিব। সেক্ষেত্রে টেস্ট সিরিজে তাকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রথম টেস্টে খেলবেন না তা এক প্রকার নিশ্চিতই। তবে বড় কোনো সমস্যা না হলে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় টেস্টে।
অনেক দিন থেকেই হাসপাতালে সাকিবের মা শিরিন আক্তার। হার্টের জটিলতা রয়েছে তার। অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও ছোট মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রিও ভুগছেন সর্দি-জ্বরে। আর সাকিবের শাশুড়ি ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
Comments