সব দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মুমিনুল
ডারবানের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার দুঃসাহস দেখিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেননি তিনি। পারেননি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেও। দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ব্যর্থ তার সতীর্থরাও। ফলে বিব্রতকর এক হারে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে টাইগারদের। আর এমন হারের দায়ভারটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক।
অথচ দক্ষিণ আফ্রিকায় এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তার উপর আইপিএলে খেলতে যাওয়ার কারণে প্রথম সারির বেশ কিছু খেলোয়াড়কে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিজ্ঞতার দিক থেকে বাংলাদেশই ছিল এগিয়ে। কিন্তু সেখানে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয় টাইগারদের।
চতুর্থ ইনিংসে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিনেই প্রথম সারির তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে তারা টিকতে পারেনি এক ঘণ্টাও। দুই ইনিংসে মুমিনুলের অবদান মাত্র ২ রান। আউট হওয়ার ধরণ ছিল আরও বিব্রতকর।
এমন চাপে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়েই নিজের কাঁধে দায়ভার তুলে নেন অধিনায়ক, 'আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম যে টেস্ট সিরিজে যারা চাপ কাটিয়ে উঠবে তারা জিতবে। তো সেদিক থেকে আমরা চারদিন চাপটা ভালো ভাবে কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু শেষের দিকে তা ধরে রাখতে পারিনি। অবশ্যই অভিজ্ঞদের দায় বলতে আমার দায়টা বেশি কারণ আমি অধিনায়ক। আমি দায়িত্বটা নিতে পারিনি, প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে। অধিনায়ক হিসেবে আমি দুই ইনিংসেই আরও ভালো ভাবে লিড দিতে পারতাম। তাহলে আমাদের ম্যাচের ফলটা ভিন্ন হতে পারত।'
তবে দ্বিতীয় টেস্টে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিরে আসার প্রত্যয় ঝরে অধিনায়কের কণ্ঠে, 'আমরা ৫ দিনের মধ্যে ৪ দিন ভালো খেলেছি। কালকের শেষ সেশন ও পঞ্চম দিন প্রথম সেশনটা। এছাড়া আমাদের অনেক পজিটিভ সাইন আছে। ওগুলো দেখলে আমরা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী নিয়ে ফিরে আসতে পারব। আমরা তো ৫দিনই খারাপ খেলেছি তা না, একটু-দুটা সেশন খারাপ খেলেছি। আর টেস্ট ক্রিকেটে তো আপনারা জানেন যে একটা সেশন স্লিপ করলে ওখান থেকে ব্যাক করা খুবই কঠিন। আমরা মানসিক ভাবে আরও শক্ত হয়ে পরের টেস্টে ফিরতে পারব।'
Comments