‘সবারই অবদান ছিল, তাসকিনেরটা একটু স্পেশাল’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম জয়ে এসেছে অনেকের অবদানে ভর করে। ব্যাট হাতে ৬৪ বলে ৭৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফিফটি এসেছে ইয়াসির আলি, লিটন দাসের ব্যাট থেকে। উইকেট নেওয়ার সংখ্যায় আবার এগিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি বিচারে তাসকিন আহমেদের পারফরম্যান্স যেন বিশেষ কিছু। ম্যাচ শেষে ইয়াসিরও স্বীকার করলেন তা।
৩১৫ রান তাড়ায় প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তবে এরপর জোড়া আঘাতে স্বাগতিকদের ভিত নাড়িয়ে দেন মূলত তাসকিনই। ওপেনার কাইল ভেরেইনা ও এইডেন মার্কামকে ফেরান একই ওভারে। পরে থিতু হওয়া বিপদজনক রাসি ফন ডার ডুসেনের উইকেট নিয়ে ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্টের নায়কও তিনি।
পঞ্চম ওভারে প্রথম বল হাতে পান তাসকিন। শুরু থেকেই আঁটসাঁট লাইন-লেন্থে বল করে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখেন তিনি। নিজের তৃতীয় ওভারে খেলা বাংলাদেশের দিকে আনেন তাসকিন। তার ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউতে ফেরেন ভেরেইনা। দুই বল পরই মার্কাম ড্রাইভে প্রলুব্ধ হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে।
৫ ওভারের প্রথম স্পেলে কেবল ১৫ রান দেন এই পেসার। ডেভিড মিলারের সঙ্গে জুটিতে রাসি ফন ডার ডুসেন যখন চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন দলের। নিজের শেষ স্পেলে সেই কাঁটাও দূর করেন তিনি। সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা রাসি ফেরার পর ম্যাচ একদম হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন ৩ উইকেট।
এই ম্যাচে ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলা ইয়াসির সংবাদ সম্মেলনে আলাদা করে বলেন তাসকিনের কথা, 'আপনি যদি দেখেন কোভিডের পর থেকে সে নিজেকে বদলে ফেলেছে। তাসকিন কিন্তু মাশাল্লাহ খুব ভালো শেপে, খুব ভাল বল করছে। আমাদের এই জয়ের পেছনেও কিন্তু বোলারদের অনেক বড় হাত, তাসকিনেরও কিন্তু অনেক বড় অবদান এটার পেছনে। সবারই অবদান ছিল, তাসকিনেরটা একটু স্পেশাল। ওর প্রথম দুই উইকেট তো একটা ওভারে। এটা বড় সেটব্যাক ছিল ওদের জন্য।'
একাগ্রতা, নিবেদন, ফিটনেস নিয়ে অনেকদিন ধরেই নজরকাড়া ছিলেন তাসকিন। তার কাছ থেকে ঘরের বাইরে এলো আরেকটি পারফরম্যান্স।
Comments