রেকর্ড গড়ে জয়ের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি
কে বলবে এটি তার কেবল তৃতীয় টেস্ট? আরও নির্দিষ্ট করে বলতে হয় বিদেশের মাটিতে কেবলই দ্বিতীয় টেস্ট। একুশ পেরুনো তরুণ নিজের সামর্থ্যের ছাপ রাখলেন চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা, প্রবল মনোবল আর নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার মানসিকতায়। তুলে নিলেন টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও টেস্টে এটি এমনকি কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানেরও প্রথম শতক। সেদিক থেকে একটি রেকর্ডেও নাম লেখা হয়ে গেল তার।
তৃতীয় দিনের লাঞ্চের আগে ২৩০ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন। লাঞ্চের পর নেমে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ২৬৯ বলে । কেশব মহারাজের বল অফ সাইডে ঠেলে দুই রান দিয়েই লাফ দিয়ে দুহাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
জয়ের সেঞ্চুরির সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২৩৫। এই তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শত রানের দেখা পেতে মেরেছেন ১০ চার ও ১ ছক্কা।
দ্বিতীয় দিনে সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন। সাদমান টিকেননি বেশিক্ষণ। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে আনেন ৫৫ রানের জুটি। শান্ত ফেরার পর মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমও থিতু হওয়ার আগেই টানেন ইতি। ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এক পাশে উইকেট পতনের মাঝেও নিজের ধৈর্য্য হারাননি তিনি। কঠিন পরিস্থিতি সামলেছেন, ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন।
নাইট ওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদ তৃতীয় দিনের শুরুতে ফিরে গেলে লিটন দাসকে সঙ্গে পেয়ে খোলস ছেড়ে বেরুতে পারেন জয়। আগের দিন বাংলাদেশকে ভীষণ ভোগান্তি দেওয়া অফ স্পিনার সাইমন হার্মারকে পাল্টা আক্রমণে রান বাড়াতে থাকেন এবার দ্রুত।
শট খেলার সময় পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে মেরেছেন মাঝ ব্যাটে। টেস্টে বল ঠেকানো আর ছাড়ার কাজটাও করে গেছেন ওভারের পর ওভার। মাঝে মাঝে পরাস্তও হয়েছেন, ফের মনোযোগ ঠিক করে শুধরেছেন দ্রুত।
লিটনের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি লাঞ্চের ঠিক পরই ভেঙে গেলে ইয়াসির আলিকে নিয়ে ছুটে চলেন তিনি। রান আউটের ভুল বোঝাবুঝিতে এই জুটি থামার আগে যোগ হয় আরও ৩৩ রান। জয় ক্রমশ পৌঁছাতে থাকেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে।
Comments