বড় বোলার হতে গেলে কি করতে হবে, বুঝতে পারছেন তাসকিন
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দ দিয়ে বাংলাদেশ দলে অবদান রাখছেন তাসকিন আহমেদ। তার নৈপুণ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে গিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জেতার ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, পেস বোলিংয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম হতে চান তিনি। সেই পথে এগুতে কি করা উচিত তাও বুঝতে পারছেন এই পেসার।
ওয়ানডে সিরিজে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন তাসকিন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেন ৩৫ রানে ৫ উইকেট। প্রোটিয়া কন্ডিশন বেশ রপ্তই করেছেন বলা চলে। ওয়ানডের পর তার সামনে এবার টেস্টের চ্যালেঞ্জ। লাল বলের চ্যালেঞ্জটাও হবে ভিন্ন। ডারবানে প্রথম টেস্টের কন্ডিশনও বাংলাদেশকে ফেলতে পারে কঠিন পরীক্ষায়।
তবে মঙ্গলবার পাঠানো ভিডিও বার্তায় তাসকিন জানান বড় বোলার হতে হলে জিততে হবে সমস্ত প্রতিকূলতা, 'বড় বোলার হতে হলে যে পিচে যে বোলিং করতে হয় সেটা আমাকে জানতে হবে। আমি আগের থেকে একটু শিখেছি। আরও অনেক কিছু জানতে হবে, শিখতে হবে। আরও স্কিলফুল হতে হবে। পিচ বা কন্ডিশন কখনই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার সামর্থ্য থাকতে হবে, বিভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে ভাল করতে হবে।'
সীমিত সংস্করণের মতো টেস্টেও তাসকিন বোলিংয়ে মুমিনুল হকের দলের মূল ভরসা। দলে তার নির্দিষ্ট ভূমিকা অনুযায়ী অবদান রাখতে মুখিয়ে থাকবেন তিনি, 'আমার যে ভূমিকা, যে পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা সেটা ভালোভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। ভাল হবে, খারাপ হবে কিন্তু আমি প্রক্রিয়াতেই থাকতে চাই।'
দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর প্রত্যাশার মাত্রা বেড়ে গেছে। টেস্টে প্রোটিয়াদের মূল কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকায় প্রত্যাশা অনেক চড়া। তাসকিন জানালেন, টেস্টেও জেতার জন্য তাদের সবার ভেতর আত্মবিশ্বাস প্রবল, 'অবশ্যই সবার ভালো আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা ম্যাচ জিততে পারি এই আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যে আছে। সবাই জেতার জন্যই খেলব। ফলাফল যেকোনো কিছুই হতে পারে কিন্তু আমাদের ইচ্ছা শক্তি তীব্রতা থাকবে ম্যাচ জেতার। সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জিততেই চাইব।'
৩১ মার্চ ডারবানের কিংসমিডে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ- দক্ষিণ আফ্রিকা।
Comments