‘বিদেশে স্পিনারদের উইকেট দেওয়া বিরাট বড় ক্রাইম’
বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছিল পেস, বাউন্স মোকাবেলার। কিন্তু পরীক্ষায় এলো ঘূর্ণি বলের ধাঁধা। হিসাবটা তাই আর মেলাতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১৪টিই নিয়েছেন প্রোটিয়া দুই স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে তো সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেছেন সাইমন হার্মার ও কেশব মহারাজ। উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে স্পিনারদের এমন উইকেট বিলিয়ে দেওয়াকে 'বিরাট বড় ক্রাইম' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মুমিনুল।
সোমবার ডারবান টেস্টে বাংলাদেশকে মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিনে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ২৬৩ রানের সমীকরণ বাংলাদেশ টিকতে পারে ৫৭ মিনিট, ৭৮ বলেই পড়ে যায় ৭ উইকেট।
মুমিনুলদের ধসিয়ে দিতে ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন মহারাজ। ২১ রানে ৩ উইকেট পান হার্মার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী ছিল ১৯ ওভার। যার সবগুলোই করেন প্রোটিয়া দুই স্পিনাররা।
ঘরের মাঠে সারা বছর স্পিনারদের মোকাবেলা করে অভ্যস্ত ব্যাটসম্যানরা উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে স্পিনে এমন আত্মসমর্পণ করবে তা মেনে নিতে পারছেন না অধিনায়ক। তার কাছে এমন ব্যাটিং রীতিমতো অপরাধ, 'আমার মনে হয় বিদেশে এসে স্পিনারদের উইকেট দেওয়া বিরাট বড় ক্রাইম। আমার মনে হয় বিদেশে এসে আপনি স্পিনারদের উইকেট দিতে পারবেন না। এই কারণে দায়টা আমারই বেশি। বিদেশে এসে স্পিনারদের কোনভাবেই উইকেট দেওয়া যাবে না। অবশ্যই এটা ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই না।'
এই ম্যাচে উইকেট বুঝতেও ভুল করেছে বাংলাদেশ। স্পিন সহায়ক উইকেটে একাদশে রাখা হয় কেবল একজন স্পিনার। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে দিয়ে কৌশলগত ভুলও করে ফেলে দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৩৫ রানে ২৯৮ করতে পারে। ৬৯ রানে পিছিয়ে থাকার ঘাটতি ম্যাচ থেকে সরিয়ে দেয় সফরকারীদের। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা যোগ করে ২০৪ রান। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ৫৩ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারতে হয় ২২০ রানে। তবে মুমিনুল বলছেন বিশাল এই হারের পরও মনোবল হারাননি তারা।
Comments