নিজের সংকট ড্রেসিংরুমের কাউকে বুঝতে দিচ্ছেন না সাকিব
পরিবারের পাঁচজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। এমন অবস্থায়ও দেশে না ফিরে সাকিব আল হাসানের খেলা চালিয়ে যাওয়া জন্ম দিয়েছে আলোচনার। টিকেট কেটেও সিরিজ নির্ধরণী ম্যাচটার জন্য দেশে ফেরা পিছিয়ে দেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, মানসিকভাবে ভীষণ শক্ত আছেন সাকিব। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছেন, নিজের সংকট ড্রেসিংরুমের কাউকেই বুঝতে দিচ্ছেন না এই তারকা।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচটায় সাকিব কতটা ফুরুফুরে হয়ে নামতে পারেন তা নিয়ে অনেকেরই সংশয়। মা, সন্তানরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকলে যে কারোরই মন অস্থির থাকার কথা।
মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন, নিজের অস্থিরতা আড়াল করে সাকিব শক্ত আছেন, মন দিচ্ছেন খেলায়। তাকে ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করছেন সতীর্থরা, 'আমরা জানি, সাকিব ভাই মানসিকভাবে খুব শক্ত সব সময়ই। পরিবারের এই ইস্যুটা অনেক বড় ইস্যু। সবাই তাকে সহযোগিতা করছে এবং সেও ভালো খেলছে। আসলে পরিবার খারাপ থাকলে তো একটু খারাপ লাগে। তবে সবাই তাকে সহযোগিতা করছে, সব খেলোয়াড়রাই।'
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল জানান, নিজের মনের অবস্থা বাকিদের টের পেতে দিচ্ছেন না তিনি, 'সে খুব ভালো আছে। নিশ্চিতভাবে ওর মনের মধ্যে কিছু একটা আছে আমরা সবাই বুঝতে পারি। কিন্তু ও সেটা কারো সামনে প্রকাশ করছে না। খুব ইতিবাচক আছে। ড্রেসিংরুমে এই বিষয় নিয়ে কেউ কোনো আলাপ করছে না। ও ওর মতো আছে। দেখে ভালো লাগছে যে, ও যে একটা ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ড্রেসিংরুমে কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না। এটা খুব ভালো।'
সাকিবের মা শিরিন আক্তার হৃদরোগের সমস্যায় নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও মেঝো মেয়ে ইরাম হাসান। বড় মেয়ে আলাইনা হাসানও ভুগছেন ঠাণ্ডাজনিত জ্বরে।সাকিবের শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত, তিনি চিকিৎসাধীন আছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
পরিবারের এতজন অসুস্থ হওয়ায় সাকিবকে দেশে ফেরার সায় দিয়েছিল বিসিবি। সে অনুযায়ী তার টিকেটও নিশ্চিত করা ছিল। সোমবার ব্যাগ গুছিয়েও পরে তৃতীয় ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে যান সাকিব। জানা গেছে, ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে এই ক্রিকেটার দেশে ফিরতে পারেন।
Comments