দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। তার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে ফের ধাক্কা দেন সাকিব আল হাসান। তাতেই চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর শরিফুল ইসলাম ফের বল হাতে নিয়ে তুলে নেন আরও একটি উইকেট। ফলে বড় বিপদেই পড়েছে স্বাগতিকরা।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৬ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার ৬ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১ রানে উইকেটে আছেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রোটিয়া পেসারদের অতিরিক্ত বাউন্সে নাস্তানুবাদ হয়েছিল টাইগাররা। শরিফুল সেই এক্সট্রা বাউন্সের ফাঁদে ফেলেন রাসি ফন ডার ডাসেনকে। তার অফস্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থের বলে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে মেহেদী হাসান মিরাজকে সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১০ বলে ৪ রান করেন ডাসেন।
এর আগে প্রোটিয়া অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তার বলে সুইপ করতে যান বাভুমা। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ১১ বলে করেন ২ রান।
এক প্রান্তে উইকেট পেলেও এদিন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন ইয়েনামান মালান। রানের গতি সচল রেখে নিয়মিত মারছিলেন বাউন্ডারি। তবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ ব্যাটারকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেছেন দারুণ ছন্দে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ।
মালানকে নিখুঁত এক বাউন্সারে পরাস্ত করেন তাসকিন। খাটো লেন্থের বলটি অফস্টাম্পের কিছুটা বাইরে ছিল। বাইরে থেকে খোঁচা মারতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেন মালান। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ঝাঁপিয়ে অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেছেন মুশফিক। ৫৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেন এ ওপেনার।
তবে প্রথম উইকেটে কিছুটা ভাগ্যবান ছিলেন তাসকিন। উইকেটে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করছিলেন কাইল ভেরেইনা। তাসকিনের ডেলিভারিটি আহামরি কিছু ছিল না। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের নিচের দিকের কানায় লাগিয়ে বোল্ড হন ভেরেইনা। ১৬ বলে ১টি চারে ৯ রান করেন তিনি।
এদিন পেসারদের শুরুটা ভালো হলেও পরের ওভারে সে ধারা ধরে রাখতে না পাড়ায় পঞ্চম ওভারেই স্পিনার আনেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও প্রথম ওভারে ভালো করতে পারেননি মিরাজও। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন এ অফস্পিনার। বিপজ্জনক কুইন্টন ডি কককে ফেরান তিনি।
আগের দিন প্রোটিয়াদের জয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার প্রধান কারিগর ছিলেন ডি কক। এক প্রান্তে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। সে ইনিংসেই হয়তো এদিন বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এ ওপেনার। কাভার দিয়ে একটি চার মারার পরের বলে হাঁকাতে গিয়েছিলেন লংঅফের উপর দিয়ে। টাইমিংয়ে হেরফের হওয়ায় সহজ ক্যাচ লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেন ডি কক।
বল হাতে বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনাটা করেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে ইয়ানেমান মালানকে পরাস্ত করেন। অফ স্টাম্পের বল ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন মালান। বল ব্যাট ঘেঁষে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে আসে। বোলারের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি। ফলে নষ্ট হয় একটি রিভিউ।
Comments