তাইজুলের জোড়া শিকারে বাংলাদেশের স্বস্তি
প্রথম সেশনের শুরুটা ছিল রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপ দিয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে এমন ভুল করেনি বাংলাদেশ। সফল রিভিউতে প্রোটিয়াদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনে দুটি উইকেট তুলে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছেন এ স্পিনার
শুক্রবার পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতির আগে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গী রায়ান রিকেলটন আছেন ৭ রানে।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা অবশ্য হতাশার ছিল বাংলাদেশের। দেখে শুনেই ব্যাট করে যাচ্ছিলেন ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন। এ জুটি ভাঙেন তাইজুল। আগের বলেই টার্ন পেয়েছিলেন অনেক। জোরালো আবেদনও করেছিলেন তাইজুল। পরের বলেও এমন কিছুই হয়তো প্রত্যাশা করেছিলেন এলগার। তবে কিছুটা জোরের রেখে প্রোটিয়া অধিনায়ককে বিভ্রান্ত করেন তাইজুল। স্পিন না করায় ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে।
সিরিজে টানা তৃতীয় ইনিংসে ফিফটির দেখা পাওয়া এলগার ৭০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ৮৯ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা পিটারসেনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক। একই সঙ্গে এদিন সাবেক তারকা জ্যাক কালিসের রেকর্ড ভেঙে পোর্ট এলিজাবেথে সর্বোচ্চ ৬৪১ রান করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
এরপর অবশ্য প্রোটিয়াদের সীমিত ওভারের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন পিটারসেন। ৫১ রানের জুটিও গড়েন তারা। তবে দারুণ এক রিভিউ নিয়ে এ জুটি ভাঙেন তাইজুল। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতে এসে তৃতীয় বলেই মেলে সাফল্য।
উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন পিটারসেন। প্যাডে লাগে বল। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন তাইজুল। রিপ্লেতে দেখা যায় মিডল স্টাম্পে পড়ে বল যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পে। ১২৪ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন পিটারসেন। এরপর রিকেলটনকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন বাভুমা।
এর আগে সারেল এরউইয়াকে দিনের শুরুতে ফেরানো সুযোগ হাতছাড়া করলেও বড় ক্ষতি করতে পারেননি এ ব্যাটার। ব্যক্তিগত ২৪ রানে খালেদের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন এ ওপেনার। তবে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। অধিনায়ক ডিন এলগারের সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি গড়েই আউট হন এরউইয়া।
তার সঙ্গী পিটারসেনও দারুণ সেট হয়ে গেছেন। অপরাজিত আছেন ২৪ রানে। দুইজনই টাইগারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটি। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি আদায় করে রানের গতি সচল রাখছেন তারা। এরমধ্যেই মেরেছেন ১৫টি বাউন্ডারি। ফলে লাঞ্চ বিরতির আগে ১ উইকেটে ১০৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Comments