ডারবানে যুব দলের সেই সিরিজ প্রেরণা দিচ্ছে শান্তদের
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে এবার গিয়েই ওয়ানডে সিরিজ জিতে বড় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। তার আগের সবগুলো সফর ছিল চরম হতাশার। তবে যুব দলের আছে ভালো কিছু স্মৃতি। ২০১৫ সালে ডারবানেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেই দলে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
৩১ মার্চ ডারবানের কিংসমিডে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট। ভেন্যুটিতে আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শান্ত-মিরাজের। শুধু খেলাই নয় ৭ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ৫-২ ব্যবধানে।
ডারবানের কিংসমিডের মাঠে হওয়া ৩ ম্যাচের সবগুলোতেই জেতেন শান্তরা। এখানে টেস্টে নামার আগে ৭ বছর আগের সেই স্মৃতিতে ফিরে গেলেন শান্ত, 'খুব ভালো স্মৃতি। এখানে আমরা যে কয়টা ম্যাচ খেলেছি, সব কটাতেই জিতেছি। ওদের দলে বেশ কয়েকজন বেসবল খেলোয়াড় ছিল। তো ওরা ব্যাটিংয় নামলে আমরা বুঝতাম না ওরা বেসবল খেলতে নেমেছে নাকি ক্রিকেট খেলতে নেমেছে। এমন মজার মুহূর্ত অনেক ছিল। তবে দিন শেষে আমাদের দলের আবহ খুব ভালো ছিল, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং উপভোগ করেছি। সে সময় অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি। তখন অনেক ভালো সময় কেটেছে।'
দক্ষিণ আফ্রিকার সেই দলের লথো সিম্পালা, ভিয়ান মুল্ডাররা এখন জাতীয় দলে। পুরনো সেই মুখগুলোর বিপক্ষে নামতে হওয়ায় কিছুটা যেন স্বস্তিতে শান্ত, 'আর সবচেয়ে বড় কথা যে, ওই দলে যারা ছিল, (ভিয়ান) মুল্ডার ছিল, (লুথো) সিপামলা ছিল। তো ওদের সঙ্গে আবার একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ। খেলার জন্য রোমাঞ্চিত। অনেক দিন পর দেখা হবে। আশা করছি, আমাদের এই ম্যাচগুলো ভালো যাবে এবং আমরা ভালো সময় কাটাব।'
সেবার বাংলাদেশের যুবাদের হয়ে ৭ ম্যাচে ৪০ গড় আর ৭২.৭২ স্ট্রাইকরেটে সর্বোচ্চ ২৮০ রান করেছিলেন পিনাক ঘোষ। মিরাজ করেছিলেন ১৮০ রান, দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে ৩৬ গড়ে ৭ ম্যাচে এসেছিল ১৪১ রান। কঠিন সেই কন্ডিশনে কিছু রান করায় এবার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন এই বাঁহাতি, 'আমি ব্যাটিংয়ে ভালো করেছিলাম, মোটামুটি দুই-তিনটা বড় ইনিংস ছিল। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাসটাও আছে। আশা করি, এবার যদি সুযোগ আসে সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামব এবং ভালো কিছু করব।'
Comments