টিকেট নিশ্চিত করেও পরে সিদ্ধান্ত বদলেছেন সাকিব
মা-সন্তানসহ পরিবারের ৫ সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সে অনুযায়ী আজ রাতেই তার টিকেটও বুক করা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবার সিদ্ধান্ত বদলে থেকে গেছেন তিনি। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন তৃতীয় ওয়ানডের পর পরিস্থিতি বুঝে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা খালেদ মাহমুদ জানান সাকিবের ফেরার সর্বশেষ অবস্থা, 'ওর একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি আছে। ওর বাসার অনেকেই অসুস্থ। যার জন্য একটু দ্বিধা তো আছেই। ঢাকা থেকে, পরিবার থেকে কথা হচ্ছে আসা-যাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে। টিকেট আমাদের প্রায়ই বুক করতে হচ্ছে ওর জন্য। আজকে ওর চলে যাওয়ার কথা ছিল। ব্যাগ গুছানোও ছিল যে সে চলে যাবে। কিন্তু সাকিবই পরে সিদ্ধান্ত বদলে বলেছে ও যাবে না, খেলবে।'
'যাওয়ার কথা ছিল এটা সত্যি কথা। বিসিবি থেকে জালাল ভাই (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) হয়ত বলেও দিয়েছেন যে চলে যাবে। তার কিছুক্ষণ পর ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও যাবে না, থেকে যাবে। এখন সাকিব যাচ্ছে না। তৃতীয় ওয়ানডেটা খেলেই আমরা চিন্তা করব।'
সাকিবের মা শিরিন আক্তার কয়েকদিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন তাকে ভর্তি করা হয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও মেঝো মেয়ে ইরাম হাসান। বড় মেয়ে আলাইনা হাসানও ভুগছেন ঠাণ্ডাজনিত জ্বরে।
সাকিবের শাশুড়ি ভুগছেন ক্যান্সারে। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। পরিবারের এতজন সদস্য একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন সাকিব। এই অবস্থায় সিদ্ধান্তটা সাকিবের উপরই ছেড়ে দিয়েছিল বিসিবি।
জালাল ইউনুস দুপুরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, 'তার পরিবারে সংকট যাচ্ছে। ও এখনো বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে পরিবার অবশ্যই সবার আগে। তার বাচ্চারা অসুস্থ। তার মা, শাশুড়ি সবাই অসুস্থ। সবাই হাসপাতালে। সে যদি মনে করে তার উপস্থিতি দরকার আমরা চাইব সে চলে আসুক।'
২৩ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে একই ভেন্যুতে ৬৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন সাকিবই। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য তিনি রান পাননি, হেরেছে দলও। শেষ ওয়ানডেতে হবে সিরিজের ফায়সালা।
৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট। টেস্টে সাকিবকে পাওয়া যাবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। সবই নির্ভর করছে তার পারিবারিক পরিস্থিতির উপর।
Comments