জয়-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের দারুণ সেশন
দিনের শুরুতেই ফিরে গেলেন নাইটওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদ। ডিন এলগার ক্যাচ না ছাড়লে থিতু হয়ে ফিরতে পারতেন লিটন দাসও। তবে এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশায় পুড়ান মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন। পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিংয়ে চরম চাপ সরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনছেন তারা।
শনিবার ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৩ রান। এই সেশনে ৩০ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তুলেছে মুমিনুল হকের দল। টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে ২৩০ বলে ৮০ রানে অপরাজিত আছেন জয়, তার সঙ্গী ছন্দে থাকা লিটনের রান ৯১ বলে ৪১।
৬ষ্ঠ উইকেটে এই জুটিতে এসে গেছে ৮২ রান। এখনো স্বাগতিকদের থেকে ১৮৪ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯৮ নিয়ে নেমে আর ৩ রান যোগ করতেই পড়ে উইকেট। দিনের তৃতীয় ওভারে লিজার্ড উইলিয়ামসের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তাসকিন।
ক্রিজে এসে লিটন শুরুতেই চোখ ধাঁধানো পুল আর পাঞ্চে দুই বাউন্ডারি মেরে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ দেখান। তাকে মনে হচ্ছিল থিতু। তবে থিতু হয়েই ফিরতে পারতেন তিনি। লিজার্ডের বলে ১৬ রানে থাকা লিটনের সহজ ক্যাচ স্লিপে হাতে রাখতে পারেননি এলগার।
জীবন পাওয়া লিটন পরে নিজেকে সামলান সতর্ক পথে। আরেক প্রান্তে সাইমন হার্মারকে মেরে খেলার পথ বাছেন জয়। ১৭০ বলে বাউন্ডারি মেরে পৌঁছান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটিতে।
ধৈর্য্য, দৃঢ়তা, নিবেদনের ছবি হয়ে থাকা জয় হার্মারকে পরেও অন ড্রাইভে চার-ছক্কায় উড়ান। সতর্ক পথে হাঁটা লিটন ২৮ রানে আঙুল তুলে কট বিহাইন্ডের আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে বল ব্যাটে না লাগায় রিভিউ নিয়ে রক্ষা হয় তার। সামলে নিয়ে এগুতে থাকা লিটন জীবন পান ৩৯ রানেও। হার্মারের বলে লেগ স্লিপে তার কঠিন ক্যাচ রাখতে পারেননি ভিয়ান মুল্ডার। ওই ওভারে তাকে আবার রিভিউ নিয়ে ফেরাতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
আরেক পাশে স্বাগতিকদের হতাশা তখন বাড়িয়ে চলেছেন জয়। মহারাজকে দুই চারে পৌঁছে যান ৭৮ রানে। ঘরে বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে এটাই আপাতত বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর। মুমিনুলের ৭৭ ছিল এর আগের সর্বোচ্চ।
জয়-লিটন যেভাবে খেলছেন লাঞ্চের পর তাদের উপর দলকে আরও অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে।
Comments