চা বিরতির আগে সাদমানকে হারালো বাংলাদেশ
ব্যাট হাতে শেষ দিকে দুটি দারুণ জুটি গড়ে বাংলাদেশের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাইমন হার্মার। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস বড় করার অন্যতম কারিগর তিনি। এবার মূল কাজটাও করছেন ঠিকঠাকভাবে। বল হাতে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন এ স্পিনার। চা বিরতির আগে সাদমান ইসলামকে হারায় টাইগাররা।
শুক্রবার ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ১ উইকেটে ২৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সাদমান ফিরে গেলেও ১৬ রানে উইকেটে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এর আগে স্বাগতিকদের ৩৬৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে মুমিনুল হকরা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দেখেশুনেই ব্যাট করছিলেন জয় ও সাদমান। পেসারদের সামলেছেন দারুণভাবেই। ফলে নবম ওভারেই স্পিনার আনেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার।
আর স্পিনার আসতেই কিছুটা স্বস্তিতে পড়েন টাইগাররা। হার্মারের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান সাদমান। কিছুটা জোরের উপর ছাড়া বলটা অবশ্য কিছুটা নিচু হয়েছিল। স্কিড করে ভেতরে ঢোকার মুহূর্তে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন সাদমান। কিন্তু পারেননি। ৩৩ বল ৯ রান করেন এ ওপেনার।
এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৩৩ নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন স্কোরবোর্ডে আর ১২ রান যোগ হতে কাইল ভেরেইনাকে হারায় দলটি। তাকে তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। পরের বলে ফের আঘাত। এবার ভিয়ান মুল্ডারকে গ্যালিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার।
এরপর কেশভ মহারাজকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দলটির সীমিত ওভারের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। বাভুমাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেন। অনেকটা বাঁক খেয়ে নিচু হওয়া বলটি শেষ মুহূর্তে আটকাতে চেষ্টা করেও পারেননি বাভুমা। ফলে ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
পরের ওভারের প্রথম বলে মহারাজকে বোল্ড করে দেন ইবাদত হোসেন। তবে টাইগারদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান হার্মার। তাকে সঙ্গ দেন লিজাড উইলিয়ামস ও ডুয়াইন অলিভার। নবম উইকেট জুটিতে উইলিয়ামসের সঙ্গে ৩৪ এবং দশম উইকেটে অলিভারের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন হার্মার। শেষ দুই উইকেটে ১৩৭ বল মোকাবেলা করেন তারা। তাতেই প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানের পুঁজি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।
তবে দেশের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই সর্বনিম্ন রান দক্ষিণ আফ্রিকার। এর আগে দেশের মাঠে তারা দুইবার অলআউট হয়েছিল। তখনও তাদের ইনিংস দুটি ছিল ৪২৯ ও ৪৪১ রানের। এবার তাদের অপেক্ষাকৃত কম রানে আটকে দেওয়ার কৃতিত্ব খালেদের। তাকে দারুণ সহায়তা করেছেন মিরাজ ও ইবাদত হোসেন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন বাভুমা। ১৯০ বলে ১২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ভেরেইনার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। হার্মারকে তাকে অবশ্য থামানো যায়নি। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন। খেলেছেন ৩৮ রানের ইনিংস। ৭৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে ৯২ রানের খরচায় খালেদ পেয়েছেন ৪ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি পেস বোলারদের সেরা রেকর্ডও এটি। অথচ এর আগের তিন টেস্টে পেয়েছেন কেবল ১টি উইকেট। এদিন শরিফুল ইসলাম ফিট থাকলে একাদশে জায়গাই হতো না তার। ৯৪ রানের বিনিময়ে মিরাজ পান ৩টি উইকেট। ২টি শিকার ইবাদতের।
Comments