‘আমরা নেতিয়ে পড়েছিলাম’, বলছেন বাউচার
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩০ পয়েন্ট বোধহয় ধরেই রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনটা ধরে রাখলে সামগ্রিক বাস্তবতায় কেউ দোষেরও দেখত না। কিন্তু ৩০ পয়েন্ট দূরে থাক সিরিজই যে জেতা হলো না। উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। এতে করে ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়ে শঙ্কার মেঘ জমেছে প্রোটিয়া শিবিরে। সেটা খুব টের পাচ্ছেন তাদের প্রধান কোচ মার্ক বাউচার। কেন তার দলের এই পরিস্থিতি সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন তিনি।
ওয়ানডে সুপার লিগে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করতে থাকতে হবে ৮ দলের মধ্যে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ওয়ানডে সুপার লিগের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তি। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর তাই বাকি প্রায় সব ম্যাচই এখন তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই।
সিরিজ হারার পর প্রোটিয়া কোচ স্থানীয় গণমাধ্যমে নিজের হতাশা উগড়ে দিয়েছেন। খেলোয়াড়দের ভেতর তাড়নার অভাব তাকে পুড়াচ্ছে, 'আমাদের ভেতর কোন তাড়না ছিল না, খুব ভালো শুরুর পর নেতিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে খেলতে চাইনি, ম্যাচটা এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, পারিনি। মনে হচ্ছিল আমরা আউট হওয়ার ভয় নিয়ে খেলেছিলাম। যে উইকেট ছিল তাতে তিনশো রানের বেশি করা উচিত ছিল।'
এই সিরিজ হারায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে করে ঐতিহ্যবাহী দলটির বিশ্বকাপ নিশ্চিতে বাছাই পর্বের বিব্রতকর পরিস্থিতির সামনেও পড়তে হতে পারে। সেই বিপদের ঘণ্টা বাজতে চলল প্রায়। তবে বাউচার আশাবাদী ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবেন তারা, 'অ্যালার্ম বেল এখানে আছেই। আমরা নিজেরাই চাপে পড়েছিলাম। মন্দের মধ্যে ভালো হলো যে আমাদের এখন মরিয়া হতে হবে এই বোধটা তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি নিজেদের যদি নিংড়ে দেই, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলি তাহলে বিশ্বের যে কাউকে হারাতে পারি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা দেখিয়েছি। একই দল ওয়ানডেতেও খেলে। অনেক কিছু নিয়েই আলাপ করা বাকি। এই দলগুলো (ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড)কে আমরাও আগেও হারিয়েছি। আবার হারাতে হবে।'
এই পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য সমালোচনার মুখে বাউচারও। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর পরীক্ষিত সৈনিক এইডেন মার্করামকে একাদশেই রাখেননি বাকি দুই ম্যাচে। ব্যাটিং অর্ডারেও এনেছেন রদ বদল। যা কাজে দেয়নি। তবে বাউচার জানালেন আগ্রাসী খেলোয়াড় হলেও মার্করাম ছন্দে নেই। তার এমন ছন্দহীনতা ভাবাচ্ছে দলকে।
Comments