২৬ মিনিটেই আনুষ্ঠানিকতা সারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশের বড় হার

ছবি- এএফপি

চতুর্থ দিনে অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার মিশন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাদের জিততে দরকার ছিল স্রেফ ৩৫ রান, বাংলদেশকে নিতে হতো ৭ উইকেট। এই সমীকরণে অসম্ভব সম্ভাবনার ধারেকাছেও যেতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ঝটপট বাকি রান তুলে খেলা শেষ করে দিয়েছে ক্যারবিয়ানরা।

রোববার অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলা হয়েছে ২৬ মিনিট। ৭ ওভারেই প্রয়োজনীয় ৩৫ রান তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় স্বাগতিকরা।

৮৫ রানের লক্ষ্যে নেমে খালেদ আহমেদের তোপে ৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও পরে আর কোন বিপর্যয় আসেনি। ২২ ওভারে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যায় তারা।

ছক্কায় খেলা শেষ করে দেওয়া ওপেনার জন ক্যাম্পবেল দলকে জেতাতে ৬৭ বলে করেন ৫৮ রান। ৫৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড।

৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে নেমে এদিন আর কোন সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকরা। আগের দিন বল হাতে দারুণ ঝাঁজ দেখালেও খালেদ এদিনও আর 'মিরাকল' ঘটাতে পারেননি। বাকি বোলারস সবাই ছিলেন গড়পড়তা। তরতরিয়ে রান উঠিয়ে খেলা শেষ করে দিতে কোন সমস্যা হয়নি ক্যারিবিয়ানরাদের। 

বাংলাদেশ ম্যাচটিতে মূলত লাগাম হারিয়ে ফেলে প্রথম ইনিংসেই। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক পেসারদের তোপে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। একমাত্র অধিনায়ক সাকিব করতে পারেন ফিফটি। তবু বাংলাদেশ আটকে যায় ১০৩ রানে। জবাবে ধৈর্য্য নিয়ে খেলে ২৬৫ রানের পুঁজি পায় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল। বাংলাদেশের পেসাররা পুরো ম্যাচেই দারুণ চাপ বজায় রাখেন, অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে পাওয়া যায় সেরা ছন্দে। তবে ফিল্ডারদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন মেলেনি।

১৬২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও আরেক দফা ব্যাটিং বিপর্যয়। আবারও টপ অর্ডার তাকে আসেনি তেমন কোন অবদান। রান খরা প্রলম্বিত করেন মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ছন্দে থাকা লিটন দাস এই ম্যাচে ছিল নিষ্প্রভ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায় সাকিবকে। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ১২৩ রানের জুটি ইনিংস হার এড়ান তিনি। দুজনেই করেন ফিফটি। 

ইনিংস হার এড়ালেও তাদের পক্ষে দলকে জেতার মতন অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রথম টেস্ট জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে যেতে কোন সমস্যাই হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। 

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০৩

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২৪৫

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৮৪, আগের দিন ৪৯/৩) ২২ ওভারে ৮৮/৩ (ক্যাম্পবেল ৫৮*, ব্ল্যাকউড ২৬*, মুস্তাফিজ ০/৭, খালেদ ৩/২৭, মিরাজ ০/১০, ইবাদত ০/৩০, সাকিব ০/৩, শান্ত ০/১০)।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে।

ম্যান অব দা ম্যাচ: কেমার রোচ।

Comments

The Daily Star  | English
Reasons behind revenue shortfall

Economy slowing, negative revenue growth shows the sign

For Bangladesh, it is no longer the question of whether the economy is destined for a hard landing or a glide to a flat state; rather the question now is how deep the descent will be.

14h ago