সেশনে তিন উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা
প্রথম সেশনে মিলেছিল কেবল এক উইকেট, সঙ্গী ছিল অনেক হতাশা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে দারুণ বল করে তিন উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিড অনেকটা বাড়িয়ে নিলেও কিছুটা খেলায় ফিরে এলো সাকিব আল হাসানের দল। তবে এই সেশনেও একটি আক্ষেপ ঠিকই থাকছে।
অ্যান্টিগায় শুক্রবার দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ৭২ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ উইকেটের দুটোই নেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০৪ ওভার ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানদের রান ৬ উইকেটে ২৩১। হাতে ৪ উইকেট রেখে ১২৮ রানে এগিয়ে আছে তারা।
লাঞ্চ থেকে ফিরে অধিনায়ক ক্রেইক ব্র্যাথওয়েট ও সহ অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিলে জুটিতে বাংলাদেশকে হতাশা বাড়াচ্ছিলেন। কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে এগুচ্ছিল তাদের পথচলা। তিন অঙ্কের দিকে ধীরলয়ে ছুটছিলেন ব্র্যাথওয়েট।
৮০ ওভার পর পরই নতুন বল হাতে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু নতুন বলের ঝাপটাও সামলে নিচ্ছিলেন ব্র্যাথওয়েট-ব্ল্যাকউউড। ব্র্যাথওয়েট নব্বুইর ঘরে পৌঁছার পর নতুন বলেই কাবু।
খালেদ আহমেদের বলটা উইকেটের ক্ষতে পড়ে ভেতরে ঢোকার সঙ্গে নিচুও হয়ে যায়। দৃঢ়তার সঙ্গে খেলা ব্র্যাথওয়েট ব্যাটে নিতে না পেরে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। ২৬৮ বলে থামে তার ৯৪ রানের দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংস। এতে ভাঙ্গে দুজনের ১৬২ বলে ৬৩ রানের জুটি।
এরপর কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে আরেকটি জুটির চেষ্টায় ছিলেন ব্ল্যাকউড। সাবলীল গতিতে রান আনছিলেন ব্ল্যাকউড। মেয়ার্স দিচ্ছিলেন ভরসা। তবে ঠিকমতো থিতু হওয়ার আগেই আঘাত হানেন মিরাজ।
লম্বা সময় ধরে ভাল বল করছিলেন তিনি। মেয়ার্সকে এর আগেও একাধিকবার আউট করেছেন। প্রিয় শিকারকে এবার ধরেন এলবিডব্লিউতে। ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে লাগার আগে প্যাড স্পর্শ করে আগে। আম্পায়ার আউট না দিলে দারুণ রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা ছিলেন ছন্দে। আগের টেস্টেও সেঞ্চুরি এসেছিল তার ব্যাটে।
১ রান করা জশুয়াকে চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারিতে কাবু করেন মিরাজ। সামান্য টার্ন করে জশুয়ার ব্যাটে স্পর্শ করে বল জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
হুট করেই ছন্দপতন হয় স্বাগতিক ইনিংসে। ব্ল্যাকউডকে টলানো যায়নি। ফিফটি করে বাংলাদেশের চিন্তা বাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। ১২২ বলে ৫৩ রানে ক্রিজে আছেন তিনি।
তবে আউট হতে পারতেন ব্ল্যাকউডও। ৩৯ রানে থাকার সময় আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদন সাড়া না দিলে রিভিউও নেয়নি বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে সফল হতো বাংলাদেশ। এই সেশনেই তাই অস্বস্তি ঠিকই ছিল সফরকারী শিবিরে।
Comments