রোমাঞ্চিত বিজয়কে শক্তি, সাহস যোগাচ্ছে যা
ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন না তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে লম্বা সময় পর এনামুল হক বিজয় ফিরেছিলেন ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে। সাদা বলের প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। ইয়াসির আলি চৌধুরীর চোটে হুট পড়ে ডাক পড়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলেও, তাও অনেকটা কনকাশন ব্যাকআপের চিন্তায়। কিন্তু মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তর যা ফর্ম তাতে সাদা বলের আগেই লাল বলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে বিজয়ের।
খুব নাটকীয় কিছু না হলে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে মুমিনুল বা শান্ত কোন একজনের বদলে একাদশে থাকবেন বিজয়। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ৮ বছর আগে, এই সেন্ট লুসিয়াতেই।
৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে কেবল ৯.১২ গড়ে ৭৩ রান জানান দিচ্ছে এই সংস্করণে তার আগের বেহাল পরিসংখ্যান। তবে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলে টানা রান করেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণিতে ৫০ এর বেশি গড়ে ৫ হাজারের বেশি রান করেছেন বিজয়।
সেন্ট লুসিয়ায় অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমকে জানালেন এটাই তার শক্তি আর সাহসের জায়গা, 'এটাই আমার সাহস, এটাই আমার শক্তি। আমি মনে করি এটা সব সময় আমার জন্য বাড়তি সাহস যোগায়। আমি নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গেছি এখান থেকে, এই জিনিসগুলো দেখলে আমার বাড়তি বোস্টআপ বলেন বা আত্মবিশ্বাস বলেন আসে এটা। অবশ্য এটা আমার ব্যাক অফ দ্য মাইন্ডে থাকবে যে আমি এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছি। সবারই ইচ্ছা থাকে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগনোর। আমিও আশাবাদী এটা কাজে লাগিয়ে অবদান রাখতে পারব।'
তবে এই পরিসংখ্যানের ভিন্ন ছবিও আছে। সর্বশেষ মৌসুমে লাল বলে তার পারফরম্যান্স ছিল একদম সাদামাটা। জাতীয় লিগ ও বিসিএল মিলে ১০ ম্যাচের ১৫ ইনিংসে ২৮.২৮ গড়ে তার রান কেবল ৩৯৬। প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রান বন্যাই তাকে এই সংস্করণেও নিয়ে এসেছে।
সাদা বলের প্রস্তুতির মাঝে হুট করে লাল বলে ডাক পেলেও নিজের প্যাশন আর তীব্র তাড়না দিয়ে সেটা পুষিয়ে নেবেন বলে বিশ্বাস করেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার, 'এটা সত্যি আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, এবং সাদা বলের অনুশীলনই করছিলাম। কিন্তু আমি মাথার ভেতর সব সময় ছিল এবং আগেও বলেছি যে আমি টেস্ট ক্রিকেটটা সব সময় ভালোবাসি। এটা নিয়ে আমার অনেক বেশি প্যাশন কাজ করে। যখন সুযোগ পাব অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। যেহেতু ৮ বছর পর টেস্টে ডাক পেয়েছি এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এটা আমার সেরা সুযোগ নিজেকে তুলে ধরার যে এটা (টেস্ট) আমি আসলেই পছন্দ করি, ভালোবাসি। অবশ্যই রোমাঞ্চিত। প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, যেভাবে এতদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি। নতুন করে কিছু বদল করতে চাই না।'
বিজয় সুযোগ পেলে তাকে খেলতে হবে টপ অর্ডারে। সামলাতে হতে পারে নতুন বলের ধাক্কা। সেজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
Comments