বাংলাদেশের বোলারদের কাঠগড়ায় তুললেন ডমিঙ্গো
দ্বিতীয় দিনে রান আটকে দ্রুত ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যে শুরুটা হয়েছিল ভীষণ ভালো। কিন্তু প্রথম সেশনের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স পরের দুই সেশনে ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। তাতে চাপ দূরে ঠেলে ম্যাচের লাগাম ধরে উল্টো টাইগারদের বিপাকে ফেললেন কাইল মেয়ার্স ও জারমেইন ব্ল্যাকউড। বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারার এই ব্যর্থতা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠে তাই ফুটে উঠল হতাশা।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে দিন শেষ করে স্বাগতিক ক্যারিবিয়ানরা। মেয়ার্সের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। ইতোমধ্যে তারা লিড নিয়েছে ১০৬ রানের। মেয়ার্স ও জশুয়া ডা সিলভাকে তৃতীয় দিনে দ্রুত সাজঘরে ফেরাতে না পারলে যা আরও বড় হওয়ার জোরালো শঙ্কা রয়েছে। দারুণ খেলতে থাকা মেয়ার্স ১৮০ বলে ১২৬ ও ডা সিলভা ১০৬ বলে ২৬ রানে ক্রিজে আছেন।
খালেদ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম মিলে প্রথম সেশনে তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেট। তারা মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ৪ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে। সেসময় সফরকারী বাংলাদেশের লিড নেওয়ার আশাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই সেশনে আলগা বোলিংয়ে ভেস্তে যায় সেটা। দ্বিতীয় সেশনে পড়েনি কোনো উইকেট। তৃতীয় সেশনে ১২১ বলে ৪০ রান করা ব্ল্যাকউডকে মিরাজ বিদায় করতে পারলেও ততক্ষণে ভালো অবস্থানে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিম ইকবাল বলেছিলেন, বোলারদের ধৈর্যের খেলা খেলতে হবে। কিন্তু সেখানেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের খেলার ইতির পর ডমিঙ্গো তাই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে জানালেন আক্ষেপ, 'এই মুহূর্তে গল্পটা টেস্ট ক্রিকেটের মতো। একটা সেশন ভালো গেছে আমাদের, আরেক সেশন খুবই বাজে। হয়তো ছেলেরা অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল। টানা যথেষ্ট পরিমাণে আঁটসাঁট বোলিং করার মাধ্যমে আমরা ওদেরকে চাপে ফেলতে পারিনি। প্রথম সেশনে সেটা পেরেছিলাম। খুবই হতাশার এটি।'
লাগামছাড়া বোলিংয়ে কী ধরনের ভুল করেছে শিষ্যরা সেটারও ব্যাখ্যা দেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ, 'প্রথম সেশনে আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। উইকেটের জন্য বোলিং করতে গিয়ে কিছু আলগা বল করেছি। যখন ওভার দ্য উইকেট করার কথা, তখন রাউন্ড দ্য উইকেট করেছি। যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য না ধরে মৌলিক কিছু ভুল করেছি।'
Comments