‘পাপন স্যার ফোন দিয়েছিলেন, পেছনে আর কোনো গল্প নেই’
কোন নির্বাচক বা টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ নয়, বাঁহাতি পেসারকে দ্বিতীয় টেস্টের দলে আসার খবর দিয়েছেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। হুট করে তার দলে আসার পেছনে আর কোন 'গল্প' নেই বলে জানালেন তিনি।
মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যান্টিগা টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। পেস বোলাররা দারুণ পারফর্ম করে নজর কেড়েছিলেন।
তবে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে আরেকজন পেসার দলে নেওয়া অনুভব করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে সোমবারই বিমানে চাপছেন শরিফুল। যাওয়ার আগে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ড প্রধানের কাছ থেকেই তিনি পেয়েছিলেন দলে আসার খবর, 'মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। পাপন স্যার (নাজমুল হোসেন) কল করেছিলেন। পেছনের আর কোনো গল্প নেই। গতকাল রাতে জেনেছি। পাপন স্যার ফোন দিয়েছিলেন। আমি বলেছি, 'জ্বী স্যার, যাব।' এই তো।'
আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় কোন খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করার কথা নির্বাচকদের। টিম ম্যানেজমেন্টেরও চাহিদা থাকে তাতে। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সবই ঠিক করেন বোর্ড প্রধান। শরিফুলের কথায় আরও একবার মিলল সেই চিত্র।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন শরিফুল। চোটের কারণে ছিলেন না টেস্ট দলে। প্রথম টেস্ট মিস করলেও দ্বিতীয় টেস্টে ফিরলেন তিনি। ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট দেখে তার মনে হয়েছে স্পট ঠিক রেখে বল করলেই মিলবে সুফল, 'আমি যা দেখেছি, ওইখানে বল জায়গায় করলেই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ওদের ক্ষেত্রেও, আমাদের ক্ষেত্রেও। চেষ্টা করব লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করার।'
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার সময় চোট পান হাতে। এর আগে পেশির টানে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও চোটে পড়েছিলেন। ঘন ঘন চোট আসলে ব্যাপারটাকে সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টায় তিনি, 'কেউ তো আসলে বলে-কয়ে ইনজুরড হয় না। কেউ ইনজুরড হতেও চায় না। ইনজুরি হওয়ার পর রিহ্যাবে থাকলে অবশ্যই খারাপ লাগে। সবাই চায় খেলার ভেতরে থাকতে, খেলতে। কোনো একটা ম্যাচ মিস করলে সবারই খারাপ লাগে। তো ওই সময়টা একটু খারাপ যায় আরকি। ওখান থেকে ফিরলে আবার ভালো লাগে।'
Comments