'টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংয়ের খুব দরকার পড়ে'

Liton Das
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেট ছিল সম্পূর্ণ ব্যাটিং সহায়ক। সেখানে কোনোমতে মাঝারী পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। এরপর বোলাররাও দারুণ কিছু করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সে লক্ষ্য।   হেসেখেলেই জিতেছে স্বাগতিকরা। তখন আরেকটু বড় পুঁজির অভাবটা হাড়েহাড়ে টের পায় টাইগাররা। দলে দুই-একজন পাওয়ার হিটার থাকলে হয়তো বড় হতে পারতো বাংলাদেশের ইনিংসও। দিন শেষে তাই আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।

বৃহস্পতিবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১০ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।

শুধু এই ম্যাচই নয়, আগের ম্যাচগুলোতেও ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে এক সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। সাকিবের ব্যাটিংও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আর বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ম্যাচেও টাইগারদের ব্যাটিং ছিল বর্ণহীন। ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে ব্যাটারদেরই দুষলেন লিটন, 'আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচেও না, দ্বিতীয় ম্যাচেও না। সাকিব ভাই ছাড়া। আমরা যদি প্রথম থেকে যেমন আমি, বিজয় ভাই বা মুনিম যেদিন খেলেছে আমরা যদি আমাদের রোলটা পালন করতে পারতাম তাহলে হয়তো পেছনের দিকের ব্যাটাররা মন খুলে খেলতে পারতো। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য সব ঠিকঠাক হয়নি।'

অবশ্য বোলাররাও যে আহামরি কিছু করেছেন তাও নয়। সেখানে অবশ্য ভিন্ন সমস্যা দেখছেন লিটন, 'আজকের ম্যাচে বোলারদের এক্সিকিউশনে একটু সমস্যা ছিল। সব বোলার নিজেদের জায়গায় ঠিকঠাক বল করতে পারেনি। পুরান এবং মায়ার্সকে ক্রেডিট দিতে হবে, ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। অনেক ভালো ভালো বলেও ওরা মেরেছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা কাজ করেছে বোলারদের মাথায় যে একটু ১৯-২০ হলেই মেরে দিতে পারে উইন্ডিজ ব্যাটারা।'

মূলত ক্যারিবিয়ানদের শারীরিক শক্তি তাদের অনেক এগিয়ে দেয় বলে জানান লিটন। দুই দলের মধ্যে মূল পার্থক্যটা এখানেই দেখছেন তিনি, 'তারা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল, যেটা আমি না বা আমাদের টিমের কেউই না। তারা চাইলেই বড় গ্রাউন্ডসেও ছয় মেরে দিতে পারে যেটাতে আমি বা আমাদের দলের কেউই সক্ষম নয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আপনারা দেখবেন, আমাদের কিন্তু চারই বেশি হয়। ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্যটা সবসময় থাকে।'

খুব শীগগিরই ব্যাটিংই উন্নতি করতে না পারলে বিশ্বকাপ ভুগতে হবে বলে মনে করেন লিটন, 'ভালো দলগুলো থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকব। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। অনেকে টি-টুয়েন্টিকে স্কিল, টেকনিক-ট্যাকটিকসের খেলা বললেও আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার হিটিংটা খুব দরকার পড়ে। এই জিনিসটাতে আমরা অনেক পিছিয়ে।'

পর্যাপ্ত ম্যাচ অনুশীলনই কাঙ্ক্ষিত উন্নতি আনতে পারে বলে মনে করেন এ ব্যাটার, 'বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় খেলব, সেখানে মাঠ অনেক বড় থাকবে। এই জিনিসটা আমাদের অনেক ভোগাবে। আমরা যত পারব অনুশীলন করব, ম্যাচ খেলব, এই জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পারি, আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব বিশ্বকাপে।'

Comments

The Daily Star  | English

Parking wealth under the Dubai sun

The city’s booming real estate has also been used by Bangladeshis as an offshore haven to park wealth for a big reason

9h ago