গায়ানায় মন্থর উইকেটের আশা, একাদশে ফিরছেন নাসুম
ক্যারিবিয়ানের সবগুলো ভেন্যুর তুলনায় গায়ানার উইকেটই বেশি স্পিন বান্ধব। স্পিনের সুবিধা নিয়ে এখানে বাংলাদেশ দলেরও আছে সুখস্মৃতি। এবারও তেমন উইকেটের আশায় আছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটের কথা মাথায় রেখে এবং আগের ম্যাচের পেসারদের হতাশাজনক পারফম্যান্সের কারণে বোলিং আক্রমণে আসতে যাচ্ছে বদল।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। সিরিজ জেতার সুযোগ নেই, তবে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় এখনো সিরিজ ড্র করে ফেলার সুযোগ থাকছে মাহমুদউল্লাহদের।
সিরিজ বাঁচাতে জিততে হবে, সেই জয়টা বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই। কারণ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা বিশাল রানের পেছনে ছুটে জেতার খুব একটা চেষ্টাই দেখা যায়নি, অনেকটা সম্মানজনক হারের লক্ষ্যে খেলতে দেখা গেছে।
এই অ্যাপ্রোচ শেষ ম্যাচে বদলানোর চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ সামলে নিতে উইকেটের সহায়তা পাওয়ার আভাসে কিছুটা আশাবাদী বাংলাদেশ দল। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়েই আশা ঝরল মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে, 'প্রথাগতভাবে হয়তবা স্পিন ধরে। আজকে দেখেছি কিছুটা শুষ্ক আছে। এটা নির্ভর করে ম্যাচের দিন কেমন থাকে। মেঘলা আছে, বৃষ্টি হতে পারে ওসব মাথায় রেখে একাদশ সাজাতে হবে।'
পরিত্যক্ত প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বল করার আগেই ম্যাচ ভেস্তে যায়। পরের ম্যাচে নাসুমকে বসিয়ে তাসকিন আহমেদকে খেলানো হয়েছিল।
তিন পেসারই ছিলেন খরুচে। তবে তাসকিন রান দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। ৩ ওভার বল করেই দেন ৪৬ রান। মাহমুদউল্লাহ জানিয়ে দিলেন এই জায়গায় আবার ফিরতে যাচ্ছেন নাসুম। 'সুযোগ অবশ্যই আছে (একাদশে বদলের) । সেকেন্ড ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম দুদিন টানা বৃষ্টি হয়, তারপর আন্ডারকাভার ছিল উইকেট। তাও ভাল ছিল উইকেট। পরের দিন যখন খেললাম খুব ভাল ছিল। তাই নাসুমের জায়গায় তাসকিন খেলল। এবাই সম্ভবত নাসুম ফিরবে। যদিও নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।'
নিজেদের প্রস্তুতি সেরে একাদশ নিয়ে ভাবনা চিন্তা সারলেও বৃষ্টি নিয়ে তেমন কিছু করার নেই। গায়ানাতেও আছে প্রবল বৃষ্টির আভাস। সেই বৃষ্টি ম্যাচ পুরো ভাসিয়ে নিতে পারে আবার কম ওভারের খেলাও হতে পারে। এসব অবস্থায় কেবল মানসিক প্রস্তুতিটা রাখতে চায় বাংলাদেশ, 'চিন্তার কিছু নাই। আমাদের ম্যাচটা পুরোপুরি হবে ভেবে নিতে হবে। যদি না হয় তাহলে আমাদের ওটা মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। ওভার কমতে পারে, বৃষ্টি যদি হয়। কিন্তু আমরা ইতিবাচক থাকব যেন পুরো ম্যাচই হয়।'
Comments