‘আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি তাহলে সমস্যা’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লম্বা সময় পার করে ফেললেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অনেকেরই আছে টেকনিক্যাল সমস্যা। সাকিব আল হাসান মনে করেন টেকনিক্যালি নিখুঁত খুব বেশি ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের নেই। তবে এই সমস্যা কাটাতে কোচিং স্টাফ নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ নেই তার।
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দিনের পর দিন কেন রান খরায়। বারবার কেন পড়তে হচ্ছে ব্যাটিং ধসে? প্রশ্নটা ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই পর্যায়ে এসে টেকনিক্যাল নাকি মানসিক সমস্যা হচ্ছে?
অ্যন্টিগায় টেস্টে হেরে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব রাখঢাক না রেখেই বললেন টেকনিকের ঘাটতিটাও বিস্তর, 'না। টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। আমার মনে হয় না যে আমাদের টেকনিক্যালি সাউন্ড খুব বেশি খেলোয়াড় আছে। সবারই অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। কিন্তু তাদের একটা উপায় বের করতে হবে যে কীভাবে রান করতে হবে, কীভাবে ক্রিজে থাকতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
তিন নম্বরে নেমে টানা ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে নেমে গত নয় ইনিংস ধরে দুই অঙ্কের দেখা পাননি মুমিনুল হক। এসব ব্যাটারদের টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে কোচদের সঙ্গে আলোচনার কিছু দেখেন না অধিনায়ক সাকিব। তার মতে প্রত্যেকের যে দায়িত্ব সে দায়িত্বটা পালন করলেই তো চলে, 'দেখুন এটা তো আমার আসলে খুব বেশি আলোচনার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি তাহলে তো সমস্যা। আমার যতটুকু কাজ অতটুকুতে আমি যদি থাকি তাহলে মনে হয় বেটার। আমার রেসপন্সিবিলিটি যতটুকু আছে ততটুকু দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। যাদের যাদের যে অংশ আছে তারা সবাই তাদের কাজটা করলে সবার জন্য সহজ হবে।'
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় কেবল ১০৩ রানে। ৬ জন ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬৫ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১০৯ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট। পরে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটিতে ইনিংস হার এড়ানো সাকিব। কিন্তু বড় হার এড়ানো যায়নি। ৮৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
Comments