আফিফ-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি
আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এবার ওপেন করতে নেমে হাসল লিটন দাসের ব্যাট। মন্থর উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বেধে দলকে লড়াইয়ের পুঁজির দিকে নিয়ে গেলেন আফিফ হোসেনও। লিটন এক রানের জন্য ফিফটি না পেলেও আফিফ থামলেন ঠিক ফিফটি করে। এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ পেল লড়াইয়ের পুঁজি।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান। দলের হয়ে আফিফ ৩৮ বলে করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান, ৪১ বলে ৪৯ করে থামেন লিটন। উইকেটের আচরণ বলছে ভাল বল করতে পারলে ম্যাচ নিজেদের দিকে আনা সম্ভব।
টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে দুই ওপেনার লিটন ও এনামুল হক বিজয় আনেন সতর্ক শুরু। মন্থর উইকেটের ভাষা পড়ে তারা এগুতে থাকেন এক-দুই করে। লিটনই পাওয়ার প্লেতে প্রথম মারার চেষ্টা করেন এবং সফলও হন। বিজয় ছিলেন কিছুটা আড়ষ্ট। ওডেন স্মিথের ফুলটসে এক চার মারার পর পুল করতে গিয়ে টপ হয়ে ধরা দেন থার্ড ম্যাচে।
১১ বলে ১০ রান করে থামেন তিনি। আগের ম্যাচে রান তাড়ায় ম্যাচের পরিস্থিতির বিপরীতে উদ্দেশ্যহীন এক ফিফটি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার নেমেই তিনি দেখান ভিন্ন অ্যাপ্রোচ। প্রথম বলেই মারেন বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে আরেকটির চেষ্টায় থামে তার দৌড়। রোমারিও শেফার্ডের বল পুল করতে গিয়ে আকাশে উঠিয়ে সাকিব ফেরেন ৩ বলে ৫ রান করে।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৪। দ্রুত দুই উইকেট পড়ায় লিটন আবার কিছুটা সামলে খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আটসাটো বোলিং দেখে তাড়াহুড়োয় যাচ্ছিলেন না লিটন-আফিফ। আকিল হোসেনকে স্লগ সুইপে ছক্কায় ৩০ পার হন বাংলাদেশের ছন্দে থাকা ব্যাটার।
প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭২। এরপর মারার তাড়না দেখা দেয় ভীষণভাবে। লিটনও সেই তাগিদ বুঝে বাড়ান রানের চাকা। ফিফটির দিকেও চলে যান দ্রুতই। কিন্তু মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি পাওয়া হয়নি তার। ৪১ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় লিটনের ইনিংস থামে ৪৯ রানে। ভাঙে ৪৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে এক পাশে রেখে এগুতে থাকেন আফিফ। ক্যারিবিয়ানদের বোলিংও হয়ে পড়ে কিছুটা ছন্নছাড়া। অতিরিক্ত খাত থেকেও আসতে থাকে রান। আফিফ দারুণ মুন্সিয়ানায় কব্জির জোরে বের করেন ছক্কা।
মাহমুদউল্লাহ স্লগ ওভারে এসে থিতু হতে সময় নিলেও পরে বের করেছিলেন বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি। কিন্তু তিনি খুব ঝড় তুলতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ২০ বলে ২২ রান করে। আফিফ থামেন ফিফটি করেই। ৩৮ তম বলে দুই রান নেয়ার চেষ্টায় রান আউটে কাটা পড়েন ঠিক ৫০ রানে। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ৬ বলে ১০ রান করে দলকে পার করান ১৬০ রানের গণ্ডি।
Comments