আচমকা ধসে দিকহারা বাংলাদেশ
অ্যান্টিগার ক্ষত ভুলে সেন্ট লুসিয়ায় লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত বেশ ভালই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। আশা জাগছিল একটা বড় পূঁজির। কিন্তু কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে আচমকা ঝাপটায় যেন সব এলোমেলো। ৩৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে হুট করে দিকহারা হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ২৫ ওভার। তাতে ৮২ রান তুলতে পারলেও ৪ উইকেট পড়ে গেছে। ৩৪ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন লিটন দাস, ৫ রান করে তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
লাঞ্চের পর নেমে এনামুল হক বিজয় খেলছিলেন অনায়াসে। নাজমুল হোসেন শান্তকে মনে হচ্ছিল একদম থিতু। পুল করেছেন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, ড্রাইভেও সমস্যা পাওয়া যায়নি। বিজয় কাভার ড্রাইভে বের করেছেন একাধিক বাউন্ডারি। দলের সংগ্রহ তিন অঙ্কও পেরিয়ে গিয়েছিল।
এরপরই হুট করে ছন্দপতন। অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপের ভেতরে ঢোকা বল বুঝতে ব্যর্থ হয়ে পায়ে লাগিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে যান বিজয়। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ৩৩ বলে ২৩ রানে থামে তার প্রত্যাবর্তনের প্রথম পাঠ।
পরের ওভারে বিদায় শান্তরও। এবারও তার হন্তারক কাইল মেয়ার্স। ক্যারিবিয়ান মিডিয়াম পেসার বেশ কিছু আলগা বল দিয়েছিলেন শুরুতে। নিজেকে সামলে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটের সেই চেনা ফাঁদে ফেলেন শান্তকে। আড়াআড়ি বলে আবার কাবু এই বাঁহাতি। এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও আম্পায়ার্স কলে বিফল হয়ে ফিরে যান। ৭৩ বল খেলে তার ২৬ রানের ইনিংসটা ছিল বেশ সম্ভাবনাময়।
আগের টেস্টে দুই ইনিংসে ফিফটি করা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবার আর টিকতে পারেননি। জেডন সিলসের বলে প্লেইড অন হয়ে ফেরেন ৮ রান করে।
লিটনের সঙ্গে জুটি বেধে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কিপার নুরুল হাসান সোহানও। আলজারি জোসেফের বাউন্সারি কাবু হয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ২ উইকেটে ১০৫ থেকে ৬ উইকেটে ১৩৮ রানে পরিণত হয় দলের স্কোর।
আপাতত দলের ভরসা ছন্দে থাকা লিটন। টেল এন্ডারদের নিয়ে তিনি দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারেন এটাই এখন দেখার বিষয়।
Comments