সেই সৌদি নারীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ইসরায়েলি প্রতিদ্বন্দ্বী

তাহানি আল-কাহতানি (বামে)। ছবি: রয়টার্স

শুরুটা করেন আলজেরিয়ান জুডোকা ফেথি নুরিন। এরপর আরেক জুডোকা সুদানের মোহাম্মদ আবদুল রাসুলও একই পথে হাঁটেন। সামনে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ থাকায় টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে এমন প্রতিবাদ করে প্রশংসায় ভাসছেন তারা। আবার অনেকে বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্ন চোখে। সরে দাঁড়ানোর চেয়ে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষকে হারাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বেশি সম্মানজনক মনে হয়েছে তাদের।

তাদেরই একজন সৌদি আরবের জুডোকা তাহানি আল-কাহতানি। নারীদের ৭৮ কেজি ইভেন্টে শেষ ৩২-এর লড়াইয়ে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ পেয়েও নাম প্রত্যাহার করেননি তিনি। অলিম্পিক থেকে ইসরায়েলের রাজ হেরশকোকে বিদায় করে দেওয়ার প্রত্যয় দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। হেরে গেছেন এ সৌদি নারী। একটি ওয়াজি-আর ও একটি ইপ্পন পেয়ে ২১ বছর বয়সী আল-কাহতানিকে হারান হেরশকো।

কিন্তু হেরেও যেন জিতেছেন আল-কাহতানি! হেরশকোর ভাষায়, এদিন জয় হয়েছে জুডোর। ম্যাচ শেষে তাই নিজে আল-কাহতানির হাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি, 'আমি খুবই খুশি যে ম্যাচটি হয়েছে। ম্যাচ শেষে হলে আমরা অল্প কথাও বলেছি। কিন্তু সে এসব গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে চায় না। আমরা হাত মিলিয়েছি এবং কোলাকুলি করেছি। আমরা ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছি এবং নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতি নিয়েও। আমি তাকে বলেছি, আমি বুঝতে পেরেছি। সে সত্যিকারের সাহসী। আমি খুশি কারণ সব ছাপিয়ে সে উঠে দাঁড়িয়েছে এবং লড়েছে। আমি খুশি কারণ খেলাটির জয় হয়েছে।'

সেদিন আল-কাহতানির সঙ্গে জিতলেও পরের রাউন্ডেই এ ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন জাপানি সোনি আকিরার কাছে হেরে অলিম্পিক থেকে বিদায় নিয়েছেন হেরশকো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল-কাহতানির ম্যাচ থেকে সরে যাওয়ার প্রচণ্ড চাপ থাকলেও তিনি সমর্থনও পেয়েছেন অনেকের। সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল আজিজ সেন্টার ফর ন্যাশনাল ডায়লগের বোর্ড মেম্বার গাদা আল-গুনাইম তো টুইট করে বলেছেন, 'ছেড়ে এসো না। তাকে মোকাবিলা করো। (নাম) প্রত্যাহার করা হলো প্রতারণাপূর্ণ জয়। তুমি জয়লাভ করো কিংবা হারো, আমাদের চোখে তুমি বীর।'

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

7h ago