জাপানকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ স্পেন
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও তখন শেষের পথে। ম্যাচ যাচ্ছিল টাইব্রেকারের দিকে। তবে বদলি নামা মার্কো আসেনসিওর ভাবনায় ছিল অন্য কিছু। শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে দারুণ লক্ষ্যভেদে দলকে উল্লাসের জোয়ারে ভাসালেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। তার কল্যাণে স্বাগতিক জাপানকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিকের ফাইনালের টিকিট পেল স্পেন।
মঙ্গলবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে স্প্যানিশরা। ১১৫তম মিনিটে বাঁকানো শটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন আসেনসিও। তার দর্শনীয় গোলের যোগানদাতা মিকেল ওইয়ারজাবাল।
সোনার পদক জয়ের লড়াইয়ে আগামী ৭ অগাস্ট স্পেন মুখোমুখি হবে অলিম্পিকের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। প্রথম সেমিতে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে আগেই ফাইনালে উঠেছে সেলেসাওরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে মিলিয়ে ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে।
সাইতামা স্টেডিয়ামে বরাবরের মতো বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলে স্প্যানিশরা। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পৌঁছানো স্কোয়াডের ছয় জনকে এদিন একাদশে রেখে ম্যাচে দাপট দেখায় তারা। ৬১ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রেখে তারা শট নেয় ১৮টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ছয়টি। বিপরীতে, জাপানের নয়টি শটের কেবল একটি থাকে লক্ষ্যে।
৩৫তম মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় স্পেনের। পেদ্রির দুর্দান্ত পাসে জাপানের রক্ষণভাগে জায়গা পেয়ে যান রাফা মির। আগের ম্যাচে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ড গোলরক্ষক কোসেই তানিকে পরাস্ত করতে পারেননি।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে জাপানের ডি-বক্সে মিকেল মেরিনো পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরের (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট) সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি স্বাগতিকদের অভিজ্ঞ ফুটবলার মায়া ইয়োশিদাকে দেখানো হলুদ কার্ড তুলে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ওইয়ারজাবাল ও আসেনসিওর জুটিতে গোল পেতে পারত স্পেন। তবে ফের বাধা হয়ে দাঁড়ান তানি। আসেনসিওর শট দারুণভাবে লুফে নেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে অল্পের জন্য গোল পায়নি জাপান। বাম প্রান্ত থেকে সতীর্থের মাপা ক্রসে হেড করেছিলেন দাইজেন মায়েদা। কিন্তু স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় গোলপোস্টের উপর দিয়ে।
অবশেষে ১১৫তম মিনিটে মেলে স্পেনের জয়সূচক গোলের দেখা। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে জাল কাঁপান আসেনসিও। গোলরক্ষক তানি ঝাঁপিয়ে পড়েও বল রুখে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারেননি। বাকিটা সময়ে এই লিড ধরে রেখে ফাইনালে নাম লেখায় স্প্যানিশরা।
Comments