মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের ভুল এবার করেনি নিউজিল্যান্ড

২ উইকেটে ১৮৯ রান। মাউন্ট মঙ্গানুইতে তখন বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল কিউই ব্যাটারদের। তাতে টাইগারদের ভালো বলগুলোও ছাড়ছিল না তারা। খেসারৎ দিতে দেরি হয়নি। কিউইদের চেপে ধরেছিল টাইগার বোলাররা। এরপর আর তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানেই স্বাগতিকদের আটকে দিয়েছিল টাইগাররা। ক্রাইস্টচার্চের গল্পটাও হতে পারতো একই রকম।

দ্বিতীয় টেস্টের শুরু থেকেই বেশ সাবধানী কিউই ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১৪৮ রান। কিন্তু তারপরও এদিন টাইগার বোলারদের করা ভালো বলগুলো ছেড়ে দিয়েছেন তারা। বাজে বলের প্রতিদানটাও দিয়েছেন ঠিকঠাক। তাতে কিউইদের রানের চাকা ঘুরেছে সচলভাবেই। প্রথম দিন শেষেই পাহাড় গড়ার পথে দলটি। এরমধ্যেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ৩৪৯ রান। অর্থাৎ এদিন কোনো ঝুঁকি না নেওয়ার সুফল পেয়েছে দলটি।

দিনশেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই দারুণ সন্তুষ্ট নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ লুক রঙ্কি, 'বিশাল একটা অংশ ছিল লম্বা সময় ধরে মৌলিক বিষয়গুলো ভালো ও সঠিকভাবে করা। আমরা মাউন্টেও এটা বেশ ভালোই করেছিলাম কিন্তু আমরা নিজেদেরকে এমন সময়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলাম যা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। তবে আজ আমরা সারা দিন এটা করতে পেরেছি। ছেলেরা দারুণ ছিল।'

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দুই স্পিনারও চড়াও হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিন সে সুযোগও দেয়নি তারা। আগামীকালও একই ধারা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখালেন রঙ্কি, 'আমরা তাদের স্পিন বোলিংকেও চাপ দিয়েছি। শেষ ম্যাচে, আমরা তাদের একটু বেশি বল করতে দিয়েছিলাম। আজ, তাদের চাপে রাখার উপর কিছুটা জোর দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা পেসার আরও কিছুটা ফিরিয়ে আনে। আজ এটা আমাদের জন্য বেশ দারুণভাবে কাজ করেছে। আশা করি আমরা আগামীকাল একই ধারা চালিয়ে যেতে পারব।'

অথচ ক্রাইস্টচার্চের উইকেট ছিল সবুজ। অভিজ্ঞতাই তাদের এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন এ ব্যাটিং কোচ, 'আমরা এখানে সবুজ উইকেট দেখে অভ্যস্ত। এমনকি আমরা টস হারতেও অভ্যস্ত। আমরা গত কয়েক মৌসুম থেকে জানি যে সবুজ সারফেসে ব্যাটিং বোর্ডে আমরা কিছু ভালো স্কোর করতে পারি। আমাদের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে করতে হয়েছিল; ভালো বলগুলো ছেড়ে। যখন আওতার মধ্যে বল থাকে, তখন আমাদেরকে স্কোর করতে হতো। এটি প্রতিপক্ষ বোলারদের তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে এবং বিভিন্ন জিনিস চেষ্টা করার জন্য চাপ দিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago