ফিল্ডারদের মান আরও বাড়াতে হবে: তামিম
কথায় বলে, ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ক্যাচ মিস করছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। মাঝেমধ্যে তো যেন মিসের মহড়ায় নামে টাইগাররা। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও যাচ্ছেতাই। আর বিষয়টি ভালো করেই জানেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। তাই নিজেদের মানটা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিলেন অধিনায়ক।
সমস্যাটা অবশ্য অনেক পুরনোই বাংলাদেশের। তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যেন এর পরিমাণ অনেকাংশেই বেড়ে যায়। যে কারণে এবার বিশ্বকাপে বর্ণহীন ছিল টাইগাররা। সে ধারায় ঘরের মাঠেও শেষ দুই সিরিজেও একই অবস্থা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে ছেড়েছে ৫টি ক্যাচ। ফিল্ডারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়াতে তেমন কিছু উপহার দিতে পারেননি বোলাররাও।
তার উপর এবার টাইগাররা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে। দেশটির মাটিতে ফিল্ডিং করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বেশি হওয়ায় শূন্যের ক্যাচ দ্রুতই নিচে নেমে আসে। তাই কাজটা কিছুটা হলেও কঠিন টাইগারদের জন্য। মাঠগুলোও বেশ বড়। দেশটিতে পূর্ব ইতিহাসও ভালো নয় বাংলাদেশের। তিনটি পূর্ণ সফর দিয়ে প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে টাইগারদের। কোনো সংস্করণেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে জয় নেই।
তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিল্ডারদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন তামিম, 'এখানে ফিল্ডিং একটু ভিন্ন। আমার মনে হয়, একটু কঠিনই বলা উচিত। এখানে বল ট্র্যাভেল করে অনেক বেশি। দেশে বা অন্য কোনো দেশে খেলি, বল এতো ট্র্যাভেল করে না। তো এই জিনিসটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, এর বেশি কিছু না। ফিল্ডিং ভালো করতে হবে, এটাই মূল ব্যপার। বল ট্র্যাভেল করুক বা না করুক আমাদের ইউনিট হিসেবে ভালো ফিল্ডিং করতে হবে।'
ফিল্ডিংয়ে নিজেদের ঘাটতির কথা জেনেই আরও উন্নতি করার তাগিদ দিলেন অধিনায়ক, 'দল হিসেবে আমরা জানি, এই জায়গায় আমরা খুব একটা উন্নতি করতে পারিনি। উন্নতি বলব না, শেষ দুই-তিন বছর ধরে আমাদের ফিল্ডিং খুব একটা ভালো হচ্ছে না। এটার কারণে, আমরা হয়তোবা কয়েকটা ম্যাচও হেরেছি। আমরা গ্রুপ হিসেবে জানি, আমাদের মান আরও বাড়াতে হবে। আমরা সম্ভাব্য সব কিছু করার চেষ্টা করছি। খেলার সময় চাপের মুখে আমরা কি করি সেটা দেখা হবে ইন্টারেস্টিং। তবে ভালো করতে আমরা সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করছি।'
Comments