দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন ঠিক হওয়ার আশায় সাকিব
শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত না- তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাইছিলেন না সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটটাও উপভোগ করছেন না বলেছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের নাটকীয়তায় বদলে গেল সব হিসেব নিকেশ। সাকিব এবার বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সারিয়ে তুলতে পারে তার মনের অবস্থা।
তার মনের অবস্থা কি বদলে গেল? পুরোপুরি মানসিক সংকট সেরে উঠা নিশ্চিত না করলেও এই ক্রিকেটার এবার বললেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তাকে সারিয়ে তুলতে পারে, 'দেখেন কোনো কিছু আসলে এক দুই দিনে পরিবর্তন করা সম্ভব না। আমি এখন ভালো অবস্থায় আছি। যেহেতু আমি জানি পুরো পরিষ্কার চিত্র আছে আমার সামনে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে গেলে হয়তো আরও তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনেক সময় হয়তো আপনি যখন ভিন্ন কোন পরিবেশে যান আপনার মানসিকতাটা অনেক বদল হয়ে যায়। আশা করি সেরকম কিছু হবে ভালোভাবে। এবং দলের জন্য ভালো পারফর্ম করতে পারব।'
সাকিবের দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া, না যাওয়া নিয়ে হয়েছে অনেক নাটক। আইপিএলের নিলামে দল পেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় এমনিতে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল না তার। সেরকমই হয়েছিল পরিকল্পনা। তবে নিলামে দল না পাওয়ায় সফরটিতে সাকিব থাকছেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয় দোলাচল।
আফগানিস্তান সিরিজের মাঝে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন। পরে ওয়ানডে ও টেস্ট দুই স্কোয়াডে তাকে রেখেই দেওয়া হয় দল।
সব কিছু যখন চূড়ান্ত তখনই নাটকের আরেক পর্ব শুরু। গত রোববার বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে দুবাই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই শীর্ষ তারকা। মানসিক ও শারীরিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য প্রস্তুত নন বলে জানিয়ে দেন। দুদিন পর বুধবার ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। দুবাই থেকে ফিরলে তার সঙ্গে বসে আগামীর পরিকল্পনা করবেন বোর্ড প্রধান।
সেই সভায় দেখা গেল আরও এক নাটকীয়তা। আগের সিদ্ধান্ত বদলে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিজেই জানান সাকিব।
বোর্ড সভাপতি জানান, মূলত সিদ্ধান্ত নিতে ভুগছেন সাকিব। এতে তার মনের অস্থিরতা প্রকাশ পায়। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েও চাইলে কিছু ম্যাচে বিশ্রাম পেতে পারেন এই তারকা, 'ও যদি ওখানে গিয়ে বিশ্রামে যায় তাহলে দিতে পারেন। আমি চাচ্ছি এই বিতর্কের এখানেই অবসান হোক। আমাদের সঙ্গে কোন খেলোয়াড়ের কোন সমস্যা নাই। বারবার জোর গলায় বলে দিচ্ছি বেশিরভাগ খেলাই ও খেলবে। কোন একটা খেলায় আমরাও নাও খেলাতে পারি। এই ধরণের অবস্থায় তার পাশে থাকা উচিত। যেহেতু সিদ্ধান্ত নিতে তার সমস্যা হচ্ছে মনে হয় তার পাশে থাকা উচিত। সেই জিনিসটা দূর করার জন্য পাশে থাকা উচিত।'
Comments