‘আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোন সংস্করণেই কখনই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কঠিন সেই কন্ডিশনে এবার প্রথম জয় ধরা দিল বেশ দাপটের সঙ্গে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাই এই জয়কে দেখছেন অনেক বড় কিছু হিসেবে।
সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য ছিল আরেকটি ইতিহাস গড়ার দিন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের মাটিতে ৩৮ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
আগে ব্যাট করে লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলির তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ করে ৩১৪ রান। যা তাড়া করতে গিয়ে প্রোটিয়ারা থামে ২৭৬ রানেই। যাতে বড় অবদান তাসকিন আহমেদের। মাঝের ওভারে অসাধারণ বল করে ৩৬ রানে তিনি পান ৩ উইকেট।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক তামিম গর্বিত পুরো দল নিয়েই, 'এটা আমাদের জন্য বড় কিছু। যেভাবে পুরো দল খেলেছে আমি গর্বিত। ইয়াসিরের ইনিংস ছিল সত্যিই বিশেষ। কিছু ছোট জিনিসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যেমন মিরাজের ও মাহমুদউল্লাহর ইনিংস। আমাদের জন্য বড় কিছু।'
বড় রান তাড়ায় শুরুতেই শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের ছোবলে পড়ে স্বাগতিকরা। এই দুজন ৩৬ রানেই তুলে নেন ৩ উইকেট, তামিম আলাদা করে বাহবা দিলেন তাদের, 'আমাদের পেস বোলাররা দারুণ করেছে খেলাটা জিতিয়েছে। গত দুই বছর ধরেই তারা ভাল করছে। আজও তারা দুর্দান্ত করেছে।'
ম্যাচ জয়ের নায়ক সাকিবের এই সিরিজটা খেলারই কথা ছিল না। মানসিক অবসাদ থেকে নাটকীয়ভাবে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। গিয়ে প্রথম ম্যাচেই করলেন বাজিমাত। ৬৪ বলে তার ৭৭ রানের ইনিংস ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ইয়াসিরের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৮২ বলে আনেন ১১৫ রান। ম্যাচ শেষে সাকিব জানালেন উইকেটে গিয়েই তিনি টের পেয়েছিলেন ব্যাটিং সহায়ক পরিস্থিতি, তবু আলাদা করে বাহবা দিলেন ইয়াসিরকে, 'যখন ৭-৮ বল উইকেটে পার করলাম টের পেলাম এটা বেশ ভাল উইকেট। আমাদের ৩০০ রানের মতো করতে হবে। লিটন ও তামিম ভাল শুরু এনেছিল। পুরনো বলে আমাদের কাজে লাগাতে হতো। ইয়াসির খুব ভাল খেলেছে। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে তাকে। শাইন চলে যাওয়ার পর খেলার জন্য সহজ ছিল। আমাদের কিছু ঝুঁকি নিতে হতো। সেটা নিয়ে কাজে দিয়েছে। বোলারদেরকে মেরে আমরা রাবাদাকে আগে আনতে চেয়েছি, আমরা জানতাম সে শেষ দিকে আসবে। কিন্তু ওকে তাদের আগেই আনতে হলো। না হলে হয়ত ২৬০-২৭০ রানের মধ্যে আটকে থাকতে হতো।'
Comments