বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে চট্টগ্রামে মার্কিন কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিদল
চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা পরিদর্শনে ২ দিনের সফরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের (ইউএসসিজি) ২ সদস্যের একটি দল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি ও দপ্তর পরিদর্শন করে দলটি।
তারা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি কোডের (আইএসপিএস কোড) বাস্তবায়ন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করতে আগামী আগস্টে নির্ধারিত মার্কিন কোস্টগার্ডের বার্ষিক সফরের আগে এটি প্রস্তুতিমূলক পরিদর্শন।
আইএসপিএস কোড জাহাজ, বন্দর, কার্গো ও ক্রুদের নিরাপত্তা বিষয়ক অপরিহার্য সামুদ্রিক বিধান।
বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে এই কোড বাস্তবায়ন শুরু করে।
চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড নিয়মিতভাবে যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের বন্দর ও বন্দর সংক্রান্ত সুবিধা-নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে থাকে।'
তিনি জানান, আগস্টের সফরের পর কোস্টগার্ড একটি অডিট প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা এখানে নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি খুঁজে পেলে তা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
করোনা মহামারির কারণে গত ২ বছর মার্কিন কোস্টগার্ড বার্ষিক অডিট পরিদর্শনে আসেনি।
তবে তার আগের পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তারা কয়েকটি নেতিবাচক মতামত দিয়েছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে চবক চেয়ারম্যান বলেন, 'গত দুই বছরে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।'
সম্প্রতি বন্দর দিয়ে পাঠানো রপ্তানি কনটেইনার পরীক্ষা করতে দুটি স্ক্যানার মেশিন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে চবক।
সকালে মার্কিন কোস্টগার্ড দলটি মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের (এমএমডি) কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং সেখানে শিপিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আগামীকাল দলটি দুটি প্রাইভেট ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো, একটি ট্যাঙ্ক টার্মিনাল এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের পেট্রোলিয়াম শোধনাগার পরিদর্শন করবে।
Comments