বুমবুম, কিউকম ও সিরাজগঞ্জ শপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ বিএফআইইউ’র
৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বুমবুম, কিউকম ও সিরাজগঞ্জ শপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এ অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান ৩টির বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট নথি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
আজ বৃহস্পতিবার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত ৬৭২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে পৃথক ৩টি রিট আবেদনের শুনানিকালে বিএফআইইউর আইনজীবী শামীম আহমেদ খালেদ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণা করে কিউকমের আয়ের টাকা ৩০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। এসব টাকা পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সিআইডির অনুরোধের পর ২০২১ সালে সবগুলো অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই কারণে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বুমবুম লিমিটেডের ৪টি অ্যাকাউন্ট এবং সিরাজগঞ্জ শপের ৭টি অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়।
এতে বলা হয়, ১৭টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন করেছে।
এর মধ্যে ইভ্যালি মোট ৬ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা, ই-অরেঞ্জ শপ ও অরেঞ্জ বাংলাদেশ ২ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা, কিউকম ২ হাজার ৯২ কোটি টাকা লেনদেন করেছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর, হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএফআইইউকে এ বিষয়ে একটি পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং আগামী ২২ মে এ বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী আদেশ দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, মোহাম্মদ কাওসার এবং মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাঁধন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষুব্ধ গ্রাহকদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৩টি পৃথক রিট দায়ের করেছিলেন।
Comments