নতুন মার্কিন জোটে যোগদানের আহ্বান, কয়েকটি বিবেচনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ২৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) উদ্বোধন করেছেন। খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশকে এই জোটে যুক্ত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অংশীদারিত্ব সংলাপের সময় থেকে নতুন এই জোট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আগামী ২ জুন ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য ২ দেশের অর্থনৈতিক সংলাপেও এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোপূ্র্বে বড় কোনো অর্থনৈতিক জোটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নেই। তাই এই নতুন আহ্বানে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কাজ করা আইপিইএফ এর ঘোষিত লক্ষ্য। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতেই এই কৌশলগত অর্থনৈতিক জোট।
সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টা নতুন নয়। ওবামা প্রশাসনের সময় ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টি দেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) নামক একটি বাণিজ্য জোট গঠন করা হয়েছিল। ওবামার এশিয়াকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির একটি অন্যতম স্তম্ভ ছিল এই জোট এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় বৃদ্ধির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানো।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তাও অনেকখানি কমে আসে। তাই ওবামার উত্তরসূরি বাইডেন কর্তৃক নতুন এই জোট ঘোষণার মধ্যে দিয়ে পুনরায় এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন প্রচেষ্টাকে আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলমান জোট রাজনীতির দিকেও তাকানো দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র টিপিপি থেকে বেরিয়ে আসার পরেও জাপানের নেতৃত্বে 'কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি)' নামে টিপিপি জোটটি সচল রয়েছে। এই জোটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া।
গত বছর সেপ্টেম্বরে চীন এই জোটে অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানায়। উল্লেখ্য, এর একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া একটি নতুন সামরিক জোটের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএসআইসি এর গবেষক জোয়ানা শেলটনের মতে, চীনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে তার মিত্র ও সহযোগীদের থেকে দূরে রাখা।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি শাংহাইয়ের গ্লোবাল চায়না স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মারিয়া আডেল কারাইয়ের মতে, সিপিটিপিপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই চীন এই জোটে যোগ দিতে চায়।
আইপিইএফ নিয়ে আলোচনায় আরেকটি প্রাসঙ্গিক জোট হচ্ছে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই বাণিজ্য চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে এই বছরের প্রথম দিন থেকে। শুল্ক মুক্ত অবাধ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাই এই চুক্তির লক্ষ্য। আশিয়ান সদস্য ১০টি দেশ ছাড়াও এই জোটে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
অনেক বিশেষজ্ঞ এই জোট গঠনকে চীনের জন্য একটি ভূ-রাজনৈতিক জয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, জোটভুক্ত প্রতিটি দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে চীন এই জোটের নীতি নির্ধারণে অন্যতম প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে। তবে এই জোটে চীনের একক আধিপত্য খর্ব করতে জাপান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এই জোটের সদস্য হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। লক্ষণীয় বিষয়, এই জোট গঠনের আলোচনায় ভারত নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকলেও শেষ মুহূর্তে সরে আসে।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে আইপিইএফ জোটের সদস্য হিসেবে প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দেশই উপরোক্ত টিপিপি ও আরসিইপি এর সদস্য। ব্যতিক্রম কেবলমাত্র চীন।
চীনকে বাদ দিয়ে জোট গঠনের প্রচেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই চীনা কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে দেখছে না। তারা ইতোমধ্যেই এই নতুন জোটের সমালোচনায় সরব হয়েছে। আইপিইএফ উদ্বোধনের আগের দিনই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা ও মুক্ত বাণিজ্য বুলির আড়ালে এই জোটের মূল উদ্দেশ্য চীনকে ঠেকানো।
উপরোক্ত আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট, তা হলো, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা বৃদ্ধির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই আইপিইএফ গঠন করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান দ্বন্দ্বের প্রভাব এই জোটের কার্যক্রমকেও প্রভাবিত করবে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ যে দেশগুলো টিপিপি, আরসিইপি ও আইপিইএফ ৩টি জোটেরই সদস্য, তাদের কার্যক্রম থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কৌশল সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে বাংলাদেশ।
এখন দেখা দরকার আইপিইএফ চুক্তির অধীনে কোন কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং তা থেকে বাংলাদেশ কিভাবে লাভবান হতে পারে।
এটি পরিষ্কার যে, গতানুগতিক আঞ্চলিক চুক্তিগুলোর মতো আইপিইএফ কেবল কিছু বাণিজ্য সুবিধা আদান-প্রদানের জন্য গঠিত হয়নি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক আর্থ-রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্য, সরবরাহ ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও অবকাঠামো, কর ও দুর্নীতি দমন এই ৪টি বিষয়কে আইপিইএফ চুক্তির ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই সব ভিত্তির ওপর গড়ে উঠা চুক্তির বিধানগুলো কি হবে তা এখনও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তাই বাংলাদেশের লাভ-ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি পাওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে উপরোক্ত ৪টি বিষয়ই বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
এই চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে হলে বাংলাদেশকে দুর্নীতি দমন, অর্থপাচার ও কর ফাঁকি রোধ, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সংস্কার করতে হবে। এই সব সংস্কার করা হলে সাধারণ জনগণ যে উপকৃত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যবসায়ী সমাজ ও অন্যান্য স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো এসব সংস্কারে কতখানি আগ্রহী হবে তাই দেখার বিষয়।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য যে কোনো বাণিজ্য চুক্তির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা প্রাপ্তি। কিন্তু এই বিষয়ে আইপিইএফ চুক্তিতে এখনও বিশেষ কিছু বলা হয়নি। উল্টো যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় শুল্ক হ্রাস ও বাজারে (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে) প্রবেশের বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তবাণিজ্য চুক্তিগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকত যে চুক্তিভুক্ত দেশকে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তবাজার বিকাশের পক্ষে সহায়ক অভ্যন্তরীণ সংস্কার সাধন করা।
উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার (জিএসপি) কথা বলা যায়। তাজরিন ফ্যাশনের কারখানায় আগুন ও রানা প্লাজা ধসের ফলে ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিকের প্রাণহানির পর ২০১৩ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দেয়। যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বাংলাদেশ এখনও জিএসপি সুবিধা ফেরত পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে আইপিইএফ এ টানতে যুক্তরাষ্ট্র কি ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে আরও ১২-১৮ মাস সময় লাগবে। এই সময়ে তারা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আইপিইএফ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। ফলে সামনের দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপগুলোর দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।
২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ আর স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। তাই বিভিন্ন বাণিজ্য জোটে অংশগ্রহণ ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশেকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখনও আশাব্যঞ্জক নয়। উদাহরণ হিসেবে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী ভিয়েতনামের কথা বলা যায়। ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই টিপিপি, আরসিইপি ও আইপিইএফ ৩টি জোটেরই সদস্য। ফলে তাদের জন্য এই অঞ্চল বাণিজ্য সুবিধার সকল দরজাই খোলা রয়েছে।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩টি জোটের কোনোটিতেই নেই। এখনও বাংলাদেশের মূল সহায় স্বল্পোন্নত দেশের তকমা। স্বল্পোন্নত দেশগুলো, যেমন কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, লাওস, যারা মোটামুটিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ করবে, তারাও ইতোমধ্যেই আরসিইপির সদস্য হয়েছে। বাংলাদেশকে তাই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোটে অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির ভরকেন্দ্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের চলমান জোট রাজনীতির বাইরে থাকা বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের উচিৎ এই অঞ্চলকেন্দ্রিক একটি সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করা। আশিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আলোচনায় আছে। বিমসটেক-এফটিএ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি কার্যকারী প্লাটফর্ম হতে পারে।
আরসিইপি ও আইপিইএফ এ যুক্ত হওয়ার ব্যাপারেও বাংলাদেশকে বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে এই সব আলোচনার জন্য বাংলাদেশের উচিত যোগ্য জনবল নিয়োগ করা।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ডাব্লিউটিও নিয়ে আলোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সেলের অনুরূপ একটি সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য। এই পরামর্শটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।
সর্বোপরি যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে যথাযথ গবেষণা ও পর্যালোচনা করা দরকার। এসব কাজ সরকার একা করতে পারবে না। তাই গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগসহ প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলো ও বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা দরকার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সব সিদ্ধান্তই জনপরিসরে আলোচনা করতে হবে। কেননা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চুক্তির ফল একটি বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য সুফল বয়ে আনলেও সাধারণ জনগণ তাতে উপকৃত হয় না।
সামসুদ্দোজা সাজেন: সাংবাদিক ও গবেষক
sajen1986@gmail.com
Comments