ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি ও সমঝোতা কোন পথে, কত দূর?
যুদ্ধের প্রভাব-পরিস্থিতি কী—তা বুঝতে অনেক দূর যেতে হবে না। সকালের নাস্তা ডিম-রুটি হাতে নিলেই বুঝবেন। আটা-তেলের দামই বেড়েছে। ঘর থেকে বেড়িয়ে গাড়িতে অধিক ভাড়া গুনতেই বুঝবেন তেলে দাম বেড়েছে। সন্ধ্যায় ঘর আলো করতে, গরম করতেও বুঝবেন গ্যাসের দাম বেড়েছে।
তেল-গ্যাস নির্ভর যেকোনো কিছুতে তার প্রভাব পড়ছে। বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষ এই অবস্থা, সংকটের ভুক্তভোগী। আর যেসব দেশ তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল তাদের অবস্থা এবার ভাবুন। যারা বলছেন, যুদ্ধ-রাজনীতি বোঝেন না, বুঝতে চান না, তারাও এর প্রভাব থেকে মুক্ত না। আপনি রাজনীতি-অর্থনীতি না বুঝলেও সে আপনাকে প্রতি মূহুর্তে বুঝাবে, একটুও ছাড়বে না।
যুদ্ধের পরিস্থিতি কী?
যুদ্ধের ৪ মাস চলছে। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে যুদ্ধের পরিস্থিতি শুনলে জানা যাবে কেবল রাশিয়ার বর্বরতা, নৃশংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ। রাশিয়ার পরাজয় সময়ে ব্যাপার! বিভিন্ন স্থানে তারা মার খাচ্ছে, পিছিয়ে পড়ছে। হাজারো সৈন্য মরছে। কূটনৈতিক ও সৈন্যরা পক্ষ ত্যাগ করছে। রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। পুতিন ক্যান্সার আক্রান্ত! সরকারে বিরোধ বাড়ছে। মানুষ বিক্ষোভ করছে। এমন আরও অনেক কিছু।
বাস্তব পরিস্থিতি কি তেমনই? সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি ও বাস্তবতায় সেই একই মুখ এখন বিপরীত কথা বলছে। এখন তারাই তাদের ধ্বংস ও ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করছে। অবশ্যই ক্ষতি উভয় পক্ষেরই হয়েছে। রুশ অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভের মতে, রাশিয়ার মোট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৬৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলার তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। তার সঙ্গে সামরিক, মানবিক, বাণিজ্যিক ক্ষতি তো আছেই।
রাশিয়া ইউক্রেনের ২০ ভাগ অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। প্রধান শিল্পাঞ্চল, নদীপথ, ইউক্রেনের বৃহৎ বন্দর, শিল্প নগরীও তাদের নিয়ন্ত্রণে। কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়া এখন সুবিধাজনক অবস্থানে বা তারা তাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি রয়েছে। তারা মনে করছে, এ যুদ্ধে তাদের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও তারা পশ্চিমা শক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যুদ্ধ বিরতি ও সমঝোতা নিয়ে চাপের মধ্যে আছে। সেটা থাকলেও অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক চাপ তাদের অবস্থান পাল্টাতে পারেনি।
ইউক্রেনের অবস্থা সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল জানিয়েছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনে তাদের ২৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা, কয়েকশ সেতু ও ১২টি বিমানবন্দর ধ্বংস হয়ে গেছে। শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৫ শতাধিক মেডিকেল কেন্দ্র ও ২ শতাধিক কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের শতকরা ৩৫ শতাংশ অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। দেশের ৩ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বোমা কিংবা মাইনের কারণে দূষিত হয়ে গেছে। জিডিপির ৩০ থেকে ৫০ শতাংশই কমে গেছে। বাজেটে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের অবকাঠামোগত ও অর্থনীতির সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ তো গেল যুদ্ধরত দেশ ২টির ক্ষয়ক্ষতির কিছু চিত্র। কিন্তু এ যুদ্ধে শুধু তারাই নয়, বিশ্বের সব দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। তার সম্মিলিত হিসেব কখনো জানা গেলে সে চিত্র হবে আরও ভয়াবহ।
মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তির লাভ-ক্ষতি
দুর্যোগের একটা অর্থনীতি আছে। তা অধিকাংশ মানুষের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করলেও কিছু মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করে। বিশ্বব্যাপী জনজীবনে সংকট তৈরি হলেও অস্ত্র ব্যবসা বহুগুণ বেড়েছে, তারা মুনাফা করছে। তেল-জ্বালানি-অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হচ্ছেন। নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি খরচ হলেও তাদের করের অর্থে শাসকরা যুদ্ধের রসদ যোগাচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যের যোগানদার। অবরোধের কারণে রাশিয়া রপ্তানি করতে পারছে না। ইউক্রেনের বন্দর রাশিয়ার দখলে থাকায় তারাও রপ্তানি করতে পারছে না। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও পশ্চিমারা রাশিয়াকে এ জন্য দায়ী করছে। রাশিয়াও তাদের বিরুদ্ধে অবরোধের কথা উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন কর্তৃক মাইন অপসারণের শর্ত জুড়ে দেয়।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষও সেই কথা স্বীকার করেন। তুরস্কের পক্ষ থেকে রাশিয়ার এই বক্তব্যকে সমর্থন করা হয়। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের শস্য চুরির অভিযোগ করা হচ্ছে, রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘ ইউক্রেনের এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেছে।
আরটি বলছে, আজভ ব্যাটেলিয়ন মারিওপোলে তাদের ৫০ হাজার টন শস্য পুড়িয়ে দিয়ে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করছে। কিন্তু সংবাদে সঠিক তথ্য আসছে না। পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেনের বন্দর অবরোধ থাকায় রাশিয়াকে অমানবিক-বর্বর বলে দুষছেন, কিন্তু একই কাজে তারা নিজেদের কোনো দায় দেখছেন না। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার ধরণের অবরোধ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র-অর্থ সরবরাহ ঠিক থাকলে তার পাল্টা কৌশলগত ব্যবস্থা কোন যুক্তিতে অন্যায়-অনৈতিক হয়ে যায়?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের উদ্দেশ্যে তাকে চাপে রেখে তার নীতি-কৌশলে পরিবর্তন আনা। তাতে কি কাজ হয়েছে? হয়নি। বরং উল্টো হয়েছে। অস্ত্র সরবরাহ ইউক্রেনকে কিছু সুবিধা দিলেও তা কতটা সাফল্য দিয়েছে? তার অধিক সংকটে পরেছে পশ্চিমা শক্তি নিজেরাই। রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে তাদের নানা উদ্যোগে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে।
রাশিয়ার তেল-গ্যাসের দাম পরিশোধ না করায় তারা পশ্চিমাদের জন্য তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেদের খাদ্যশস্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আর ইউক্রেনের চালান আটকে দিয়েছে। আর অন্যান্য দেশের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। বৃহৎ শক্তি চীন-ভারতসহ অন্যরা তা কিনছে। বাংলাদেশসহ অন্যরাও সেই তালিকায় ঢুকছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, হাজারো সংকটে তার রিজার্ভ ৩ গুন বেড়েছে। রুশ সরকার তার দেশের বিদেশি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন ধরণের আইন করার মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিকে সংহত করছে।
ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কী একটি অঞ্চল, নাকি স্বাধীন রাষ্ট্র?
বর্তমানে মার্কিন সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বারাক ওবামার সময় ছিলেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, 'ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করলে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হবে।' তার মানে পশ্চিমারা ভালো করেই জানতো যে ইউক্রেনকে ন্যাটোর টোপ দিলে তাদের সেই দুরভিসন্ধি সফল হবে। চীনকে ঘিরেও তাইওয়ানকে ইউক্রেনের মডেল অনুসরণ করতে চায় তারা। আর সেটা করা গেলে বিশ্বে আর যে কয়টা বেয়াড়া রাষ্ট্র আছে সেগুলো এমনি শিকারে চলে আসবে। কিন্তু সব কিছু কি এত সহজ, এমন সাজানো ছকে চলে?
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হেনরি কিসিঞ্জার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সম্মেলনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উদ্দেশ্যে বলেছেন, যদি ইউক্রেনকে রক্ষা করতে চাইলে পূর্বের রুশভাষী অঞ্চলসহ কিছু অংশ রাশিয়ার হাতে তুলে দিয়েই বোঝাপড়া বা শান্তি আলোচনা করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
গতমাসে ইউক্রেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রবণতা নিয়ে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। ভিক্টর ২০১৪ সালে মার্কিন ও পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে এবং দেশটি পোল্যান্ডের সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শিকড় অনেক বিস্তৃত ও গভীরে।
তিনি মনে করেন, ইউক্রেন শুধুমাত্র 'দক্ষিণ ও পূর্বে' তার বিস্তীর্ণ অঞ্চলই হারাচ্ছে না বরং তার সার্বভৌমত্বের 'সম্পূর্ণ ধ্বংসের' মুখে। পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক জোরদার করা, তথাকথিত 'ইউরোপীয় স্বপ্ন'কে আর কাছাকাছি আনবে না, বরং পোল্যান্ডের সঙ্গে 'একত্রীকরণের' হুমকি তৈরি করবে। তার মতে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে আর একটি দেশ হিসেবে কল্পনা করতে চায় না, একটি অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে। ইউক্রেনকে তারা তাদের এই অঞ্চলের একটি বৃহৎ ভূরাজনৈতিক স্বার্থের অংশ মনে করে।
শান্তি-সমঝোতা কোন পথে?
ইতোমধ্যে নানা সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, এ যুদ্ধ সহসাই শেষ হচ্ছে না। জাতিসংঘ বলেছে, এই যুদ্ধ দীর্ঘসময় ধরে চলতে পারে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। অন্যান্য দেশ ও সামরিক বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলছেন।
শান্তি আলোচনা শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কঠিন কোনো বিষয় নয়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে শর্তের বলা হয়েছে, যেমন ইউক্রেনকে বেসামরিকীকরণ, নব্য নাৎসিমুক্ত করা ও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাধীনতার বিষয়টি স্বীকার করা। জানা যায় তৃতীয় দাবির ক্ষেত্রে তাদের স্পষ্ট না আছে। তাহলে এই যুদ্ধের পরিণতি কী? রাশিয়া বলছে, তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেন কি পশ্চিমা শক্তির সাহায্যে রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারবে?
ইউক্রেন যা কিছু করছে, তা নিজেদের বুদ্ধি ও শক্তিতে নয়। যাদের নির্দেশনায় এগুলো করছে তারা কখনো মস্কোর বন্ধু ছিল না। কিন্তু তারা রাশিয়াকে প্রতিপক্ষ করে ইউক্রেনের কি ভালো করছে? অনেক মূল্য দিয়ে তারা যা অর্জন করবে, তা কি মর্যাদার হবে? পশ্চিমাদের সহায়তায় একটা বোঝাপড়া হলেও পরবর্তীতে তাদের স্বার্থের বলয়েই থাকতে হবে। ইউরোপের দেশগুলো যেমন মার্কিন স্বার্থের বাইরে যেতে পারছে না। নিজেদের ক্ষতি করে হলেও সে কাজ করছে। তবু ইউরোপের অনেক দেশ সামরিক ক্ষমতাসম্পন্ন, ইউক্রেনের মতো নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক লেখায় বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের মিত্ররা আক্রান্ত না হলে, আমরা সরাসরি ইউক্রেনের সংঘাতে জড়াব না এবং ইউক্রেন যুদ্ধে সেনাও পাঠাবো না। তার মানে, এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্রপাতি নিয়ে সরাসরি করতে হবে। রাশিয়ার হুমকির মুখেও বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক রকেট সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, তাতে রাশিয়া চাপের মধ্যে থাকবে। এতে করে কূটনৈতিক বোঝাপড়ায় ইউক্রেনের সুবিধা হবে। চুলোয় লাকড়ি দিয়ে, ঘি ঢেলে কি আগুন নেভানো যায়? পশ্চিমারা তাই করছে।
মার্কিনীদের কাছে ইউক্রেন বড় বিষয় নয়, তাদের প্রধান এজেন্ডা আঞ্চলিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রণ ও ইউরোপকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখা। ইউরোপে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান শক্তি, প্রভাব বৃদ্ধি মার্কিনীদের শঙ্কিত ও চিন্তিত করছে। রাশিয়ার জ্বালানি-খাদ্যশস্য ও বাণিজ্যের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা মার্কিনীরা মেনে নিতে পারছে না। ইউরোপের ওপর রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব বন্ধ করতে ও তাদের নিজেদের নিরঙ্কুশ প্রভাব বলয়ে রাখতে এই যুদ্ধের নাটক সাজানো হয়েছে।
পশ্চিমারা ইউক্রেনকে প্রচুর অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে ইউক্রেনকে বিজয়ী করার জন্য নয়, বরং রাশিয়াকে বিধ্বস্ত ও দুর্বল করার জন্য। আর তা করাচ্ছে তাদের বিধ্বস্ত ও অনুগত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দিয়েই। সে কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন ইউক্রেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের এ প্রেক্ষাপটের শেকড় অনেক গভীরে। সুতরাং সময়ই বলবে, এই যুদ্ধ কোন ফর্মুলায় শেষ হবে, কাদের মাধ্যমে ও মধ্যস্থতায়, কি স্বার্থ ও সমীকরণে তা শেষ হবে।
ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক-গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments