পাবিপ্রবিতে অফিস অটোমেশন সিস্টেমের উদ্বোধন

শিক্ষার্থীর ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষাজীবনের চুড়ান্ত সনদ তোলার প্রক্রিয়া হবে কাগজবিহীন। কাগজ ছাড়া চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম।
পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস অটোমেশন সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে সকল দাপ্তরিক ও শিক্ষা কার্যক্রম হবে অটোমেশনের আওতাভুক্ত। শিক্ষার্থীর ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষাজীবনের চুড়ান্ত সনদ তোলার প্রক্রিয়া হবে কাগজবিহীন। কাগজ ছাড়া চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পাবিপ্রবি ষষ্ঠ, যারা অটোমেশনের যাত্রা শুরু করল।

আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।

এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল মিলনায়তত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সিনিয়র শিক্ষক ও দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, 'আগামীর বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। সেই লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো, স্মার্ট নাগরিক তৈরি করব। সে লক্ষ্যে সুযোগ সুবিধার অংশ হিসেবে অফিস অটোমেশনের যাত্রা শুরু হলো।'

উপাচার্য বলেন, 'আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমদিকে আছি, যারা অফিস অটোমেশনের কাজ শুরু করলাম। এর মাধ্যমে সকল কাজ ঝামেলাহীনভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে। এতে সময় বাঁচবে। কাগজ লাগবে না। সময় ও সম্পদের সাশ্রয় হবে। হয়রানি কমবে। স্বচ্ছতা , জবাবদিহিতা বাড়বে। দায়িত্ববোধের সঙ্গে সবাই কাজ করতে বাধ্য হবে। একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া যাবে। পেপারলেস অফিস  হয়ে উঠবে। কাগজ লাগবে না। কাগজের জন্য গাছ কাটতে হবে না। পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।'

তিনি আরও বলেন, 'একাডেমিক কাজ থেকে শুরু করে চুড়ান্ত ফল প্রকাশ সবকিছু কাগজবিহীন হবে। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই সকল কাজ নিজে করতে পারবে। সকল অফিস ও বিভাগ অটোমেশনের আওতায় আসবে। অফিস অটোমেশন সিস্টেম উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনেক এগিয়ে গেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই গতি ধরে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা সবাই দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।'

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, 'অটোমেশন সিষ্টেম নিয়ে যে ভীতি কাজ করে, সবার মধ্যে বাস্তবে এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া। কেবল আমাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। শুধুমাত্র প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া উপায় নাই। বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে একীভুত হতে হলে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।'

অনুষ্ঠানের সভাপতি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, 'বহুদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন আজ ঘটলো অফিস অটোমেশন সিষ্টেম উদ্বোধনের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক ও শিক্ষাকার্যক্রম হবে পেপারলেস, কাগজবিহীন। স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তিকে দক্ষ হতে হবে। আজকের দিনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। অল্পদিনের মধ্যেই এর সুফল সবাই দেখতে পারবে।'

অনুষ্ঠানের শুরুতে অফিস অটোমেশন সিষ্টেম সফটওয়্যার এডুসফ এর পরিচালক হাসান সরওয়ার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোষ্ট ড. ওমর ফারুক। এসময় রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বহ্ম্র, প্রক্টর কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
social safety net budget

Safety Net Programmes: Slice for the poor only gets thinner

Although budgetary allocation for social safety net programmes has increased over the past 13 years, the share of compatible programmes has declined significantly.

6m ago