হাজার পেনাল্টি নেওয়ার ফলাফল শূন্য

টাই-ব্রেকারকে বলা হয়ে থাকে ভাগ্য পরীক্ষা। কিন্তু এটা মানতে নারাজ স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে। যে কারণে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইতালির বিপক্ষে হারার পর শিষ্যদের বিশ্বকাপ ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে হাজার খানেক পেনাল্টি মেরে প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন এ কোচ। কিন্তু সে প্রস্তুতি যে সামান্য কাজে দেয়নি তা দেখা গেল বিশ্বকাপে।

মঙ্গলবার দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে টাই-ব্রেকারে মরক্কোর কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায় স্পেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে।

কিন্তু পেনাল্টি শ্যুটআউটে একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি এনরিকের শিষ্যরা। পাবলো সারাবিয়ার নেওয়া প্রথম শটটি ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। এরপর কার্লোস সোলের ও সের্জিও বুসকেতসের নেওয়া দুটি শট ঠেকিয়ে দেন মরোক্কান গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটি লক্ষ্যভেদ করে মরক্কো।

অথচ স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের কি-না হাজার পেনাল্টি মেরে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেছিলেন এনরিকে। ম্যাচপূর্ব সংবাদসম্মেলনে বলেছিলেন,   'আমি মনে করি না এটি একটি লটারি। আপনি যদি প্রায়শই অনুশীলন করেন, তাহলে আপনার পেনাল্টি নেওয়ার উপায় উন্নত হবে। স্পষ্টতই, আপনি চাপ এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা অনুশীলন করতে পারবেন না, তবে আপনি এটি মোকাবেলা করতে পারেন।'

'আমি মনে করি না এটি একটি লটারি। আপনি যদি প্রায়শই অনুশীলন করেন, তাহলে আপনার পেনাল্টি নেওয়ার উপায় উন্নত হবে। স্পষ্টতই, আপনি চাপ এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা অনুশীলন করতে পারবেন না, তবে আপনি এটি মোকাবেলা করতে পারেন।' টাই-ব্রেকার নিয়ে এমনটাই বলেন এ স্প্যানিশ কোচ।

মরক্কোর বিপক্ষে হারে স্প্যানিশদের টাই-ব্রেকারে হারের ব্যর্থতা আরও লম্বা হলো। এ ম্যাচে কেবল একবারই জিততে পেরেছে দলটি। হারলো এ নিয়ে চারবার। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে, ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৯৮৬ সালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারে দলটি। একমাত্র জয়টি ২০০২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

4h ago