Skip to main content
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩  //  বৃহস্পতিবার
E-paper English
T
আজকের সংবাদ
ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে: হিরো আলম ৭ মাস পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে বাংলাদেশ জানুয়ারিতে ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১.৯৫ বিলিয়ন ডলার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে: প্রধানমন্ত্রী ডুলহাজারা সাফারি পার্কে সিংহ রাসেলের মৃত্যু স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের খোঁজ পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইলেন স্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জিয়াউর রহমান জয়ী ভোটার যায়নি, পুলিশ মাইকিং করে ভোটারদের ডেকেছে: মির্জা আব্বাস গিলের বিস্ফোরক সেঞ্চুরির পর বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদ জয়ী বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু জয়ী পানির নিচে গ্যারেজ! জাপানি মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপনে বাবা, উদ্ধার করে পাঠানো হলো ভিকটিম সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে জয়ী সাত্তার
The Daily Star Bangla
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • E-paper
  • English
আজকের সংবাদ
ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে: হিরো আলম ৭ মাস পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে বাংলাদেশ জানুয়ারিতে ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১.৯৫ বিলিয়ন ডলার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে: প্রধানমন্ত্রী ডুলহাজারা সাফারি পার্কে সিংহ রাসেলের মৃত্যু স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের খোঁজ পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইলেন স্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জিয়াউর রহমান জয়ী ভোটার যায়নি, পুলিশ মাইকিং করে ভোটারদের ডেকেছে: মির্জা আব্বাস গিলের বিস্ফোরক সেঞ্চুরির পর বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদ জয়ী বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু জয়ী পানির নিচে গ্যারেজ! জাপানি মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপনে বাবা, উদ্ধার করে পাঠানো হলো ভিকটিম সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে জয়ী সাত্তার
The Daily Star Bangla
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ | সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • হোম
  • সংবাদ
    • বাংলাদেশ
    • এশিয়া
    • বিশ্ব
  • মতামত
    • সম্পাদকীয়
    • অভিমত
    • সংবাদ বিশ্লেষণ
  • করোনাভাইরাস
  • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলা
  • বাণিজ্য
    • অর্থনীতি
    • বিশ্ব অর্থনীতি
    • সংগঠন সংবাদ
  • বিনোদন
    • টিভি ও সিনেমা
    • মঞ্চ ও সংগীত
    • অন্যান্য
  • জীবনযাপন
    • ফ্যাশন ও সৌন্দর্য
    • খাদ্য ও সুস্থতা
    • ভ্রমণ
  • সাহিত্য
    • সংস্কৃতি
    • শিল্প
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
  • তারুণ্য
    • শিক্ষা
    • ক্যারিয়ার
    • তারুণ্যের জয়
  • প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ
    • বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গেজেটস
    • স্টার্টআপ
    • অটোমোবাইল
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু পরিবর্তন
    • প্রাকৃতিক সম্পদ
    • দূষণ
  • প্রবাসে
    • অভিবাসন
    • পরবাস
    • যাওয়া-আসা
English T
  • হোম
  • সংবাদ
    • বাংলাদেশ
    • এশিয়া
    • বিশ্ব
  • মতামত
    • সম্পাদকীয়
    • অভিমত
    • সংবাদ বিশ্লেষণ
  • করোনাভাইরাস
  • খেলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলা
  • বাণিজ্য
    • অর্থনীতি
    • বিশ্ব অর্থনীতি
    • সংগঠন সংবাদ
  • বিনোদন
    • টিভি ও সিনেমা
    • মঞ্চ ও সংগীত
    • অন্যান্য
  • জীবনযাপন
    • ফ্যাশন ও সৌন্দর্য
    • খাদ্য ও সুস্থতা
    • ভ্রমণ
  • সাহিত্য
    • সংস্কৃতি
    • শিল্প
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
  • তারুণ্য
    • শিক্ষা
    • ক্যারিয়ার
    • তারুণ্যের জয়
  • প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ
    • বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গেজেটস
    • স্টার্টআপ
    • অটোমোবাইল
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু পরিবর্তন
    • প্রাকৃতিক সম্পদ
    • দূষণ
  • প্রবাসে
    • অভিবাসন
    • পরবাস
    • যাওয়া-আসা

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
মতামত

বিএনপি কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় না

আমীন আল রশীদ
সোমবার, নভেম্বর ২৮, ২০২২ ০৮:৪০ অপরাহ্ন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। স্টার ফাইল ছবি

সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ বলছে, 'জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।' অর্থাৎ সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করার অধিকার দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের আছে। কিন্তু সেটি শর্তসাপেক্ষ। অর্থাৎ 'যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে'।

শুধু এই বিধানটি নয়, সব সাংবিধানিক অধিকারই এরকম শর্তসাপেক্ষ। অর্থাৎ স্বাধীনতা কখনো নিঃশর্ত বা অ্যাবসলিউট হয় না। কেননা তাতে নৈরাজ্য হয়। যেমন: বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গেও সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের নিশ্চয়তা দান করা হইলো।' তার মানে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয়ে কেউ কথা বললে সংবিধান তাকে সুরক্ষা দেবে না। কারণ তার বাকস্বাধীনতাটি শর্তসাপেক্ষ।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

মুশকিল হলো, জনসভা বা সমাবেশ ও মিছিল কিংবা শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে যে 'যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধের' কথা বলা হয়েছে, সেটি সব সরকারের আমলেই দেখা গেছে তাদের বিরোধী মতের দলগুলোর জন্য একরকম এবং সরকারি দলের জন্য অন্যরকম। অর্থাৎ সংবিধানের এই 'যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধের' প্রসঙ্গটি বিরোধী মতের দল ও সংগঠনের বেলায় যতটা সক্রিয় থাকে, সরকারি দলের বা সরকারের অনুগত দল ও সংগঠনের বেলায় ততটা সক্রিয় থাকে না। যে কারণে দেখা যায়, বিরোধী দলগুলো যখনই কোথাও সমাবেশ করতে চায়, তাদের পছন্দের জায়গায় খুব সহজে অনুমতি মেলে না। আবার সরকারি দল ও সরকারের অনুগত ও সমর্থনপুষ্ট দল বা সংগঠনের শোভাযাত্রায় পুলিশ যে ভূমিকা রাখে, বিরোধী দল ও মতের মিছিল ও শোভাযাত্রায় পুলিশের ভূমিকা সেরকম নয়। অর্থাৎ সংবিধানের বিধানটি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা থাকলেও রাষ্ট্র বা সরকার সেটি প্রয়োগ করে নিজের সুবিধা অনুযায়ী। দেশে যে একটি সুস্থ, সহনশীল ও সৌহার্দপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, তার পেছনে মূল কারণ সংবিধান ও আইনকে নিজের সুবিধা মতো প্রয়োগের এই প্রবণতা।

এই কথাগুলোর বলার কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে জটিলতা। তারা চাচ্ছে বিভাগীয় শহরে তাদের সমাবেশের সমাপনী কর্মসূচিটা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় করবে। কিন্তু সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অনুমতি দিচ্ছে না।

আমাদের সরকার, সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাকার হয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলোকে আর আলাদা করা যাচ্ছে না। দেশে যে সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, তার পেছনে এটিও একটি কারণ। অর্থাৎ সরকারে যে দলই থাকুক না কেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে—সেটি এখনও প্রত্যাশার ভেতরে রয়ে গেছে। রয়ে গেছে বলেই সরকারি দল যা চাইবে সেটিই সরকারের চাওয়া এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই চাওয়ার বাইরে কতটুকু যেতে পারে— সেটি বিরাট প্রশ্ন।

বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। যেমন:

১. বিএনপি কেন নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চায়?

২. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজধানীর ভেতরে এবং একটি ঐতিহাসিক স্থান ও বিরাট মাঠ হওয়ার পরেও তারা কেন সেখানে যেতে চায় না?

৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দেয় তখন বিএনপি কী করবে? নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে? তখন কী পরিস্থিতি হবে? বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়াপল্টনেই ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা অন্য কোথাও সমাবেশের কথা ভাবছি না। সমাবেশ পল্টনেই করব।'

৪. বিএনপি যেহেতু আগেও নয়াপল্টনে সমাবেশ করেছে, ফলে ১০ ডিসেম্বর এখানে তাদের সমাবেশের অনুমতি দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের অসুবিধা কোথায়? রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হবে? গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে সমাবেশ কিংবা মিছিল করার ঘটনা নতুন নয়। ক্ষমতাসীন দলও এটা করে। তাহলে বিএনপি যদি ১০ তারিখ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় তাতে অসুবিধা কী?

৫. আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যদি সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করে, তাহলে সেই দাবির সপক্ষে তারা কি জনমত গড়ে তুলতে পারবে বা তারা কি সত্যিই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে কিংবা নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রধান যে দাবি নির্দলীয় সরকার— সেই বিধান ফিরিয়ে আনতে সংবিধান সংশোধনে সরকারকে বাধ্য করতে পারবে? যদি না পারে তাহলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?

৬. বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য মতে যদি সত্যিই আগামী ১০ তারিখ সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন শুরু হয়, তাদের বিএনপির শরিক এবং সরকারবিরোধী অন্যান্য দলগুলোর ভূমিকা কী হবে? তারা সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কতক্ষণ দাঁড়াতে পারবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর চট করে দেওয়া কঠিন। তবে বিএনপি কেন নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চায় তার কিছু ব্যাখ্যা দলের তরফে দেওয়া হয়েছে, যেমন:

১. বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান বলেছেন, 'আমাদের তো কোনোদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেয় না। আমরা সব সময় পার্টি অফিসের সামনেই সমাবেশ করি, এটা না দেওয়ার কিছু নেই।' সেলিমা রহমান জানান, তারা নিজেদের সুবিধার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান। প্রশ্ন হলো, সুবিধাটা কী? নয়াপল্টন এলাকাকে তারা নিরাপদ মনে করছে? এখানে দলের কার্যালয় বলে তারা পুরো সমাবেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারবে এবং দলের নেতারা কার্যালয়ের ভেতরে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে পারবেন, এই সুবিধার জন্য?

২. বিএনপি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় সব সময় ছাত্রলীগের সরব উপস্থিতি থাকে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখানে নানাভাবে বাধা পেতে পারেন। তাছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কয়েকটি নতুন স্থাপনা তৈরি হয়েছে। ফলে সমাবেশের স্থানও অনেক ছোট হয়ে গেছে।

৩. বিভাগীয় শহরগুলোতে এতদিন বিএনপির যে সমাবেশ হয়েছে, সেখানে সরকার পরোক্ষভাবে চাপ দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে সমাবেশ ব্যাহত করার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ পুরো শক্তি নিয়ে মাঠ দখল করেনি। কিন্তু ঢাকায় সেই ছাড় তারা দেবে না। বরং ঢাকার সমাবেশে যাতে খুব বেশি মানুষ জড়ো হতে না পারেন এবং সমাবেশটি যাতে সফল না হয়, সরকার ও সরকারি দলের তরফে সেই চেষ্টা থাকবে। কারণ আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ঢাকা। সুতরাং বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, সরকার সেটি ভেঙে দিতে চাইবে।

৪. বিএনপি এই মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। আবার ঢাকার সমাবেশ সফল করার ব্যাপারেও তারা চাপে আছে। কেননা এখান থেকেই তারা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ের ঘোষণা দিতে চায়। সুতরাং এই সমাবেশ ব্যর্থ করে দিতে সরকার ও সরকারি দল কঠোর অবস্থানে থাকবে। ফলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে সমাবেশ করতে পারলে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হবে।

শেষ পর্যন্ত বিএনপির এই সমাবেশ নয়াপল্টনে নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। কারণ, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তবে জনমনে যে প্রশ্নটি আছে তা হলো, যেহেতু এই সমাবেশে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি জানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, ফলে এরকম একটা 'নো রিটার্ন' পয়েন্টে যাওয়ার পরে আর সেখান থেকে ফেরা যাবে না বলে তারা কি সমাবেশের পরেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চায়? তারচেয়েও বড় প্রশ্ন, এই সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কি নির্বিঘ্নে ঢাকায় আসতে পারবেন? ৮ তারিখ থেকে কি সারা দেশ থেকে ঢাকামুখী গণপরিবহন চলবে নাকি ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে?
 

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Related topic
বিএনপি / সোহরাওয়ার্দী উদ্যান / বিভাগীয় সমাবেশ
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

Related News

১ মাস আগে | রাজনীতি

‘সোহরাওয়ার্দী-তুরাগ তীর ছাড়া বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনা করবে বিএনপি’

১ মাস আগে | রাজনীতি

আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

হাছান মাহমুদ
২ মাস আগে | রাজনীতি

আমরা দেশে গণ্ডগোল বাধানোর অনুমতি দিতে পারি না: তথ্যমন্ত্রী

৫ দিন আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি আছে নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য ইশারার রাজনীতি নিয়ে’

সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন
১৫ ঘণ্টা আগে | নির্বাচন

৬ আসনে উপনির্বাচনের ভোট চলছে, প্রার্থী ‘নিখোঁজে’ নজর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

The Daily Star  | English
2h ago|Elections

By-polls swept by the blessed ones

Three Awami League candidates and two independents with AL blessings won the by-polls to five out of six constituencies held today.

2h ago|Views

Modi's patronisation of Adani and its cost for Bangladesh

The Daily Star
Follow Us
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.