পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, হোটেল-মোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড়

Kuakata.jpg
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এমন পরিস্থিতি থাকায় সংকটে পরেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

লোকসান কাটাতে এবং পর্যটক আকৃষ্ট করতে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলোতে নির্ধারিত ভাড়ার ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল-মোটেল মালিকরা। বিগত বছরগুলোতে এ সময় কিছু পর্যটক থাকলেও, এ বছর রমজানের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আবাসিক হোটেল 'কুয়াকাটা গেস্ট হাউজের' স্বত্বাধিকারী মোতালেব শরীফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রমজান শুরু হওয়ার ১ সপ্তাহ আগ থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটক কমে যায়। এখন পর্যটক নেই বললেই চলে।'

তার ৩৯ রুমের হোটেলটিতে গত ১ সপ্তাহে কোনো পর্যটক আসেনি বলে জানান তিনি।

কুয়াকাটায় ভালো মানের ১৩০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে এবং সবগুলোর অবস্থা একই বলে জানান মোতালেব শরীফ।

আবাসিক হোটেল 'খান প্যালেস'র ম্যানেজার আব্দুস শাকুর ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের হোটেলে ৫০টি রুম আছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার ২টি রুমে পর্যটক ছিল এবং বাকি ৪৮টি রুমই ফাঁকা।

এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার অর্থ জোগাতে হিমশিম খেতে হবে বলে মনে করছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা।

কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্টের হিসাবরক্ষক শাহিন আলম বলেন, 'বেশ কয়েকদিন ধরেই পর্যটক নেই হোটেলে। রমজানের আগে থেকেই পর্যটকের সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। অন্যান্য বছর রমজানে অল্প সংখ্যক পর্যটক থাকলেও এবার একেবারেই খারাপ অবস্থা।'

পর্যটক না থাকায় কুয়াকাটা সৈকতে ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফাররাও অলস সময় কাটাচ্ছেন।

ছাতা ব্যবসায়ী নূর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সৈকতে আমার ৪০টি ছাতা ও বেঞ্চ আছে। রমজানের আগে থেকেই এবার পর্যটক একেবারেই কম। ফলে আমাদের আয়-রোজগারও নেই। পরিবার নিয়ে চলতেও কষ্ট হচ্ছে।'

সৈকতে বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার আলমাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পর্যটকদের ছবি তুলে দিয়ে আমরা কিছুটা উপার্জন করি, তা দিয়েই সংসার চলে। কিন্তু প্রায় ১ মাস ধরে সৈকতে পর্যটক একেবারেই কম। আমাদেরও উপার্জন নেই বললেই চলে।'

সৈকতে মাছ বিক্রি করেন বেল্লাল হোসেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত প্রায় ১ মাস ধরে সৈকতে পর্যটকের দেখা নেই। ঈদের ছুটিতে মানুষ এলে মন্দাভাব কেটে যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago