৩ বছরের প্রকল্প ১৫ বছরে শেষের সম্ভাবনা, ব্যয় বাড়ছে ৪ গুণ

ঢাকা টঙ্গী জয়দেবপুর রেল
রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় পাশাপাশি ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। ছবি: প্রবীর দাশ

দুর্বল পরিকল্পনা, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেলওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প। ফলে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

প্রকল্পটির ব্যয় ও সময় আবারও বাড়ানোর প্রস্তাব যদি অনুমোদিত হয় তাহলে তা শেষ হতে আরও ৪ বছর লাগবে। অর্থাৎ, প্রকল্পের বয়স গিয়ে ঠেকবে ১৫ বছরে। খরচ হবে ৩ হাজার ২৬৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা প্রথম দিককার খরচের হিসাবের ৪ গুণ।

২০১২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি হাতে নেয়। উদ্দেশ্য ছিল রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগের উন্নতি করা।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা ছাড়াই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন ও টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডুয়েল গেজ লাইন বসাতে ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।

তখন বলা হয়েছিল, প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালে শেষ হবে।

কিন্তু, অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে। দরপত্র ও নকশায় জটিলতার কারণে এই দেরি। কাজ শেষের সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সাল করা হয়।

ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটে চলমান প্রকল্পটির ৫৮ দশমিক ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৭ সাল ও খরচ আরও ২ হাজার ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, রেললাইনের ওপর দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'এক্সপ্রেসওয়ের কারণে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেলপ্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ শুরুই করা যায়নি।'

তার মতে, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, করোনা মহামারি ও অবকাঠামোগত কাজ শুরু করতে দীর্ঘসূত্রিতা ইত্যাদি মূল কারণ।

প্রকল্পে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি, টঙ্গী সেতুর নকশা পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণের খরচ বৃদ্ধি ও ডলারের দাম বৃদ্ধিকেও প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক।

নারায়ণগঞ্জ ছাড়া দেশের বাকি অংশ এই ঢাকা-টঙ্গী রেল লাইনের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত। এটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ।

এই ২২ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লাইনটি প্রতিদিন ১১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হলেও এই লাইন দিয়ে ১২০টি ট্রেন চলাচল করে।

টঙ্গী-জয়দেবপুরের ১১ দশমিক শূন্য ৯ অংশ রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এই ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইনটি প্রতিদিন ৪৪টি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হলেও এই লাইন দিয়ে প্রতিদিন ৫৮ ট্রেন চলাচল করে।

সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Dhaka-Joydebpur rail expansion: 3yr project now to take 15; cost rises fourfold লিংকে ক্লিক করুন

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

15h ago