২ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর: আরও ৩ দিন সময় পেল তদন্ত কমিটি

থানায় নিয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার
এডিসি হারুন-অর-রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও তিন দিন সময় পেল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) কে এন রায় নিয়তি বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ওই ঘটনার পরদিন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রথমে কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে পাঁচ দিন সময় বাড়ানো হয়। আজ মঙ্গলবার কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ করতে কমিটি আজ আরও সাত কর্মদিবস সময় চেয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার তিন দিন সময় দেওয়া হলো।

কমিটির প্রধান ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অন্য দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশীদ মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার) সানজিদা আফরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুনের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

জানা যায়, হাসপাতালে ওই ঘটনার পর আজিজুলের সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Tajia procession marks holy Ashura in Dhaka amid tight security

Crowds began gathering at the site from the early hours, with many attending alongside their families and children

1h ago