আবেদ খানের জরিমানার আদেশ আপিল বিভাগে বহাল

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

ঢাকার ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের পরিত্যক্ত ২৯ নম্বর বাড়ি ও জমির মালিকানা সরকারকে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সেইসঙ্গে একই সম্পত্তির মামলায় কোর্ট অব সেটেলমেন্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার তথ্য লুকিয়ে হাইকোর্টে মালিকানা দাবি করায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার হাইকোর্টের আদেশও আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ সম্পত্তির দাবিদার এস নেহাল আহমেদ ও সরকারের করা চারটি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

নেহাল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দাখিল করেন এবং সরকার হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন করে তিনটি পিটিশন দাখিল করে।

আবেদ খান ও সরকারের করা পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছিলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ময়নুল হাসান বলেন, ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়ি যার মূল্য এখন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, তার মালিক ১৯৭২ সালে দেশ ছেড়ে চলে যায় এবং তৎকালীন সরকার জমিটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখলে নেয়।

আবেদ খান ও তোয়াব খানসহ আট জন ১৯৮৯ সালে জমির মালিকানা দাবি করে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে মামলা করেন। মামলায় আবেদ খান ও তার ভাই জানান, তার বাবা আবদুল হাকিম খান জমিটি কিনেছিলেন।

কোর্ট অব সেটেলমেন্ট ১৯৯২ সালে দেওয়া রায়ে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন এবং রায় দেন যে সরকার আইনত জমির দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে, এস নেহাল নামে এক ব্যক্তি ১৯৯৬ সালে একই জমির মালিকানা দাবি করে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে একটি পৃথক মামলা করেন। নেহাল মামলায় ১৯৮৭ সালে আবেদন করা হয় বলে উল্লেখ করেন।

কাজী মইনুল হাসান বলেন, কোর্ট অব সেটেলমেন্ট ১৯৯৭ সালে এস নেহালের পক্ষে রায় দেন।

আবেদ খান ২০১৫ সালে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে আবেদ খান ১৯৯২ সালে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তথ্য গোপন করেন।

আবেদ খান আদালতের তথ্য গোপন করে জালিয়াতি করেছেন মর্মে হাইকোর্ট তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এস নেহালের পক্ষে ১৯৯৭ সালে কোট অব সেটেলমেন্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরকার ২০১৮ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে, ডিএজি কাজী মাইনুল হাসান বলেন, হাইকোর্ট সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

9h ago