গাজীপুর

কলেজশিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনায় বাড়িতে ঢুকে কলেজশিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মো. সাইদুল ইসলামকে (২৫) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মিডিয়া উইং ডিরেক্টর খন্দকার আলম মঈন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র‌্যাব।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ সালনায় হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম রাবেয়া আক্তারকে (২১)। ঘটনার সময় বাধা দিতে গিয়ে তার মা ও ছোট বোনও আহত হন। মা বিলকিস বেগম (৪৫) এবং ছোট বোন খাদিজাকে (১৪) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা উত্তরা সিন সিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। 

মামলার একমাত্র আসামি সাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মহেশতারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি বাবা-মার সঙ্গে মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় থাকতেন।

গাজীপুর মেট্রো সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিহতের বাবা আবদুর রউফ তার ছোট ২ মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতের কোরআন শিক্ষার জন্য অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামকে গৃহশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। দুই মেয়েকে কোরআন পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়ার সুবাদে বড় মেয়ে রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাইদুল। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে সাইদুল ইসলামকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল রাবেয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দেন এবং বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করেন। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সাইদুলের বাবা-মাকে জানানো হয়।

আবু সাঈদ আরও জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি সম্প্রতি রাবেয়া মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি নেন। কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে রাবেয়াকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন সাইদুল। বিষয়টি রাবেয়া তার বাবা-মাকে জানালে সাইদুলকে উত্ত্যক্ত না করতে পুনরায় নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল রাবেয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এর জেরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাবেয়ার বাড়ির প্রধান গেট খোলা দেখতে পেয়ে সাইদুল রাবেয়ার ঘরে ঢুকে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রাবেয়ার মাথায়, গলায়, পায়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। সে সময় রাবেয়ার চিৎকারে তার মা বিলকিস ও ছোট বোন হাবিবা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে প্রতিবেশী মাহমুদুল ইসলাম তাদেরকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টায় গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাবেয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL issue with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

33m ago