ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল, বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার পর করাচিতে পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভ। ২১ অক্টোবর, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ বাতি ও ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণার পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ করছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসিপি শুক্রবার পিটিআই নেতা ইমরান খানকে সরকারি পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে। এর পরপরই দেশটি আন্দোলনের দিকে ধাবিত হয়। কারণ ক্ষুব্ধ পিটিআই কর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। ইসিপির এই ঘোষণাকে পিটিআইয়ের জন্য বিশাল রাজনৈতিক আঘাত হিসাবে দেখা হচ্ছে।

রায় ঘোষণার পর ইসিপি অফিসের বাইরে বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে ক্ষুব্ধ পিটিআই কর্মীরা একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইসলামাবাদগামী তিনটি বড় সড়ক ব্লক করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইসলামাবাদ ট্রাফিক পুলিশ যাত্রীদের পেশোয়ার রোড বা লেহত্রার রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ চুঙ্গি নং ২৬ এবং ভারা কাহু এলাকার আথাল চকে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে সমস্ত ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পেশোয়ারে পীর জাকোর্ডি সেতুর কাছে এবং স্টেডিয়াম চকের কাছে আরেকটি রাস্তা অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। টোল প্লাজার কাছে মোটরওয়েতে টায়ার জ্বালানোর পরে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এদিকে, করাচিতে দলের নেতা আলী জাইদি, ফিরদৌস শামীম নকভি, মেহমুদ মৌলভী এবং অন্যান্যদের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা সিন্ধ ইসিপি অফিসের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। খবরে বলা হয়, পিটিআই কর্মীরা জোর করে ইসিপি ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। 

চরসাদ্দায় বিক্ষোভকারীরা ফারুক-ই-আজম চৌকে জমায়েত হয় এবং এএনপি কর্মীদের মুখোমুখি হয়। পুলিশের একটি বিশাল দলের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তবে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

নওশেহরা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান খানের সমর্থকরা শাওরা চৌকে ভিড় করেছেন এবং তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে পাকিস্তানের ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ইসিপি বলেছে, তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ কোনো সরকারি দায়িত্ব পালনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

3h ago