এলএনজি আমদানি চুক্তি নিয়ে সমালোচনার ‘ভয়ে’ পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। ছবি: সংগৃহীত

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেছেন, দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করতে তারা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির পরিমাণ বাড়াবেন। আগামী মাসেই দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির দিকে যাবেন তারা।

এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে সমালোচনা হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শুধু সমালোচনা করলেই হবে না, সমাধানের পথও বলে দিতে হবে।'

আজ রোববার হাইড্রোকার্বন ইউনিটের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, তারা এলএনজি আমদানি বাড়াবেন। ২টি নতুন ১ হাজার এমএমসিএফডি (দৈনিক মিলিয়ন কিউবিক ফিট) সক্ষমতার ভাসমান রি-গ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল করার কথাও বলেন তিনি।

আরেকটি ১ হাজার এমএমসিএফডি সক্ষমতার স্থল রি-গ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। তবে একই সভায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর সমালোচনাও করেন।

আজ 'স্মার্ট এনার্জি প্ল্যানিং অব বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, 'শিল্পখাতে গ্যাসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। শত শত গ্যাস সংযোগের আবেদন জমা হয়ে আছে। এই চাহিদা পূরণে আমাদের এলএনজি আমদানি বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।'

তিনি বলেন, 'অনেকেই এলএনজি আমদানি করার বিরোধিতা করেন। আগামী ১৫ তারিখের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদী ২টি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ২টি এফএসআরইউ (রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল) স্থাপনের চুক্তি হবে। তখন দেখবেন পত্রিকাগুলো কীভাবে সমালোচনা করে। সমালোচনা হতেই পারে, তবে সমাধানের পথও বলে দিতে হবে।'

এলএনজিকে 'ক্লিন এনার্জি'র ভালো বিকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কয়লার থেকে তো এলএনজি ভালো। তাই বিকল্প হিসেবে এর ব্যবহার বাড়ানো ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।'

গতকাল বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে ২টি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

4h ago