বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যমুনা-পদ্মা খননে সমীক্ষা চলছে

বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন শেষেবক্তব্য দিচ্ছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যমুনা ও পদ্মা নদী খনন এবং তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে এবং তা এগিয়ে চলছে বলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, 'বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। এ কারণে নদীর ভাঙনরোধে বড় বড় বাঁধ নির্মাণ ও নদী খননের সক্ষমতাও বেড়েছে। টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত নদী খনন এবং তীরে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আছে।'

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে মানিকগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব অঞ্চল) মাহবুবুর রহমান, মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মালুচি পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার যমুনা ও পদ্মা নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নদী ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।'

'এ জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সমীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরিকল্পনা কমিশনে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠানো হবে। পরবর্তীতে একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার পর নদী খনন এবং বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে,' বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ বিদেশি অর্থায়নে করা হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত বাকি ৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজও করা হবে। ইতোমধ্যে এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় হলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।'

নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর ও বাঁধ ভাঙার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব আছে। তবে এলাকাবাসীর দায়িত্বই বেশি। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা যতোই শক্তিশালী হোক, এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Decision on AL’s registration after receiving govt ban order: CEC

The decision to ban was made at a special meeting of the council following three days of demonstrations demanding a ban on the party

29m ago