বিচারের দাবিতে অনশনে কুবি ছাত্রলীগের ৪ নেতা
তিন ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনার বিচারসহ ৫ দাবিতে অনশন করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির চার নেতা।
রোববার বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে তারা অনশনে বসেন।
এই চার নেতা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক কাজল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়া, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তৃতীয়বারের মতো সংবাদ সম্মেলন করে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো-'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ' প্রক্টরের পদত্যাগ, হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ, অছাত্র, বহিরাগত ও একাধিক মামলার আসামিদের হলে ওঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান।
এ বিষয়ে অনশনরত ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রোববার সংবাদ সম্মেলনের পর আমরণ অনশনে বসেছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন শান্তি আসে সেই কাজই করে যাচ্ছি।'
'আমরা আর কাউকে আহ্বান করিনি। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় আমাদের সঙ্গে বিচারের দাবিতে যুক্ত হতে চায়, হতে পারবে,' বলেন তিনি।
এদিকে ছাত্রদের অনশনের বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকিকে রোববার রাতে একাধিকবার ফোন করলেও, তিনি রিসিভ করেননি। এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি।
গত ৮ মার্চ দুপুরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন জামিয়া মোহাম্মদিয়া ও শিশু সদন কমপ্লেক্সের সামনে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান হৃদয় এবং বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের অভিযোগ, হামলাকারীরা সবাই যুবদলের কর্মী। আর প্রক্টরের ভাষ্য ছিল, হামলাকারীরা বহিরাগত।
হামলার ঘটনায় কুবি ছাত্রলীগ ৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ৫ দফা দাবি উত্তাপন করে। পরে দাবি আদায়ে তারা ১১ মার্চ প্রতীকী প্রতিবাদ, ১২ মার্চ মানববন্ধন, ১৩ মার্চ বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরে ১৬ মার্চ আধাবেলা অবস্থান কর্মসূচি, ১৫ মার্চ গণসংহতি সমাবেশ এবং ১৬ মার্চ সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের আয়োজন করে কুবি ছাত্রলীগ।
Comments