ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকল, সেটা খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে ছেলেরা কেন মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
আজ রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বছরের এইচএসসির ফলাফল হস্তান্তরের পর তিনি তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'দেখা যাচ্ছে যে এ বছর ছাত্রীদের পাশের হার একটু বেশি। এটার জন্য ধন্যবাদ। কারণ সবসময় আমাদের শুনতে হয় জেন্ডার ইকুয়ালিটির কথা। এখন তো উল্টো হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকল, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। প্রতি বছরই দেখছি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। একসময় তো মেয়েদের পড়াশোনাই করতে দিত না। অনেক দেশে এখনো মেয়েদের পড়াশোনা করতে দেয় না।'
মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'ছেলেদের বলছি তোমরা পিছিয়ে থেকো না। তোমরা পড়াশোনা করে সমান তালে চলো, সেটাই আমরা চাই।'
এ বছর এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফলে মেয়েদের পাশের হার ছেলেদের তুলনায় তিন দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'জিপিএতেও মেয়েরা এগিয়ে। যা হোক আমি ছেলে-মেয়ে সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।'
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে ফলাফল প্রকাশের উদ্বোধন করেন।
তিনি আরও বলেন, 'এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে রেজাল্ট খুঁজতে হয় না। আজ মোবাইল ফোনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল দেখা যায়। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
পরীক্ষায় যারা উর্ত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এ বছরের ফলাফলে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। শুধু পড়ে পাস করলেই হবে না, সেটা অর্থবহ হতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'যারা উর্ত্তীর্ণ হয়েছে তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই। আর যারা ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদের বলব হতাশ হবার কিছু নেই। অভিভাবক ও শিক্ষকদের বলব, যারা উর্ত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।'
'যারা পারেনি তাদের গালমন্দ করা যাবে না। তার মনেও তো কষ্ট আছে। আমি অভিভাবকদের বলব, যদি কেউ উর্ত্তীর্ণ না হয়, তাকে সাহস দেন, উৎসাহিত করুন। তাহলে তারা আবার চেষ্টা করে ভালো করতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের কখনো পড়-পড় বলে ধমকাইনি। পরীক্ষার আগে সারারাত জেগে পড়তে দেইনি। কেউ রেজাল্ট খারাপ করেনি। তবুও যদি কেউ করে তাকে গালমন্দ করা হয়নি। এটা ঠিক না। কারণ তারা কোমলমতি তারা নিতে পারে না।'
Comments