প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গুজব রটালে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং কনস্ট্যান্টলি হচ্ছে এবং যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে; কেউ চেষ্টা করছে গুজব ছড়ানোর, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রশ্নের ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটাতে পারে। গুজব রটালে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে। ভুল-ভ্রান্তি যেটা, ওটা তো ভুলই! গতবার যে কয়েকটি জায়গায় ভুল হয়েছে, তাদের সেই ভুলের খুব কড়া মাশুল দিয়ে হয়েছে। অতএব আশা করি, সব জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকেন; শিক্ষক-প্রধান শিক্ষক, ভুল যাতে কোনোভাবে না হয় সেই ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকবেন।'
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র পাওয়ার পরেও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে বিলম্ব করে—এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কঠোর হবো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো বেতন কিছুটা বকেয়া থাকে। ওরা (বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) এটাকে মোটামুটি সেই বেতন উদ্ধারের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করে, যেটা একেবারেই ঠিক নয়। আপনি পরীক্ষার্থীকে তার যেটা প্রাপ্য সেটা দিয়ে দেবেন। তার পরে সে তার পরীক্ষার ফি বা অন্য যা কিছু দেওয়ার সেটা দেবে। এটার জন্য জিম্মি করা ঠিক নয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আমি শুনেছি...গত বছর বা তার আগের বছর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছিলাম এবং ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।'
এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, 'সংশোধনী যে একেবারে সাড়া বইজুড়ে সে রকম নয়। কোনো কোনো বিশেষ বিশেষ বিষয় ছিল, আমরা সেই বিষয়গুলো বলেছি পরে পড়াতে আর অন্যগুলো তো পড়ানো চলছিলই। এবারে যেহেতু পড়ার পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন, কাজেই কোনো অসুবিধা হয়নি—হবেও না আমার বিশ্বাস।'
আগামী বছর অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আগামী বছর যারা এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না এবং আমরা যেহেতু সময়টা আরেকটু এগিয়ে আনতে চেষ্টা করব; আমাদের তো সারা দেশের শিক্ষকদের ফিডব্যাক পেতে হবে যে, তারা কোন সময়ের মধ্যে এটা শেষ করতে পারবেন। খালি তো তাড়াহুড়ো করে শেষ করলে হবে না! কমফোর্টেবলি শেষ করতে পারতে হবে। তাদের ফিডব্যাক নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আমরা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা তো ঠিক হবে না।'
'করোনার কারণে আমাদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেনডার ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল ধীরে ধীরে আমরা ফিরে আসছি। গত বছর আমরা আরেকটু এগিয়ে নিয়ে আসতে পারতাম, হঠাৎ বন্যার কারণে আমাদের আবার পেছাতে হলো। এবার আমরা গত বছরের চেয়ে অনেক আগে নিয়ে এসেছি, সামনের বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি,' বলেন তিনি।
Comments