ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনযোগী হওয়া দরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনযোগী হওয়া দরকার।

আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই তাদের অভিভাবকদের। আর যারা পাস করতে পারেনি তাদের আমি এটুকু বলবো যে, তারা যেন মন খারাপ না করে। তারা যেন নতুন উদ্যোগে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা ফেল করবে কেন! ফেল করার তো কথা না।'

'পাসের হারে আমি দেখলাম, মেয়েদের সংখ্যা একটু বেশি। প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি। আমি বলবো, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনযোগী হওয়া দরকার। আমি আশা করি, এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষক সবাই একটু মনযোগী হবেন। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আসলেই খুব মেধাবী। একটু সুযোগ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে, এটা আমরা জানি। সেটা বিবেচনায় রেখে আমি মনে করি এদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার,' বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আর দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে বেশি দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এটাই হচ্ছে মূল হাতিয়ার আমি মনে করি।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি এবং স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই। আমাদের একটা প্রকল্পও ছিল নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। প্রত্যেকটা জেলা যেন নিরক্ষরতামুক্ত হয়, কয়েকটি জেলা নিরক্ষরতামুক্ত ঘোষণাও করেছিলাম। দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১-এ আমরা আর সরকারে আসতে পারিনি। এর পরে বিএনপি-জামায়াত জোট আসে, সেই প্রজেক্ট আর সেভাবে কার্যকর হয়নি। আমাদের উদ্যোগের ফলে ৯৬ সালে যেখানে ৪৫ ভাগ আমরা স্বাক্ষরতার হার পেয়েছিলাম, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন আমরা দেখি ৬৫ দশমিক ৫ থেকে আর সামনে এগোতে পারেনি, বরং আর পিছিয়ে যায়। আবারও ৫০-এর ঘরে চলে আসে।'

মাদ্রাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষাটা যাতে তারা নিতে পারে। কারণ এই মাদ্রাসা শিক্ষার পরে ছেলে-মেয়েরা কোথায় গিয়ে কাজ করবে! সে জন্য তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং বা প্রযুক্তি শিক্ষা; এসব টেকনিক্যাল সাইডে যাতে তারা আরও ট্রেনিং নিতে পারে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা দরকার এবং তাদের উৎসাহিত করা দরকার। তাতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কারণ আমরা তো সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেক মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে দিয়েছি। শিক্ষকদের সরকারি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।'

'করোনাকালে স্কুল-কলেজে যেতে না পেরে অনেকে একটু বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়টা পার হয়ে গেছে। করোনা আমরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। পূর্ণদমে আবার শিক্ষাগ্রহণ শুরু হবে, সেটা হয়েছে,' বলেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৩ ডিসেম্বর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ও ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

5 bodies recovered from launch in Meghna

The incident had occurred on the Meghna river under Chandpur Sadar upazila in an area adjacent to Shariatpur

5m ago